বকখালিতে মাক্স নিয়ে হাজির বাঘ। রবিবার দুপুরে বকখালি পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটকদের মুখে মাক্স পরিয়ে দিলেন দক্ষিণরায়।না-না সত্তিকারের বাঘ নয়। কাটুন বাঘের মাক্স নিয়ে পর্যটকদের সচেতন করলেন। একদিকে যখন বনের বাঘ বাঁচানোর জন্য প্রশাসনিক লেভেলের কর্তারা সচেতনতা বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সেই জায়গায় রবিবার বকখালি পর্যটন কেন্দ্রে বাঘ এসে মানুষ যাতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে তার বার্তা দিল।



করোনার প্রকোপ যখন কিছুটা নিম্নমুখী, তখন মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে অমিক্রণ। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নামখানা বকখালি পর্যটন কেন্দ্রে বহু পর্যটক বেড়ানোর পাশাপাশি বনভোজনে মেতেছেন। কিন্তু মাক্সের বালাই নেই কারো মুখে। অথচ কয়েকদিন ধরে নামখানা ব্লক প্রশাসনের পাশাপাশি ফ্রেজারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে বারবার মাইকিং করে সকলকে সচেতন করা হচ্ছিল। সেই সচেতনতা বার্তাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পর্যটকরা বিনা মাক্সে অবাধে পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।


এবার সাধারণ মানুষসহ পর্যটকদের সচেতন করতে নামখানার বিডিও নিজেই পৌঁছে গেলেন বকখালি সমুদ্র সৈকতে।রবিবার তখন বকখালি বকখালি পর্যটন কেন্দ্র ভিড়ে ঠাসা। প্রায় মানুষের মুখে মাক্স নেই। নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর ও বিদ্যুৎ কর্মাদক্ষ নীলকন্ঠ বর্মন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের নিয়ে সমুদ্রের মাক্স ছাড়া ঘুরে বেড়ানো পর্যটকদের সচেতন করলেন। পাশাপাশি বিডিও এবং বিদ্যুৎ কর্মদক্ষ নিজেরাই কিছু পর্যটক এর মুখে পড়িয়ে দিলেন মাক্স। অবাধ্য পর্যটকদের তখন গায়ে ডোরাকাটা দক্ষিণরায় ধমক দিতে ব্যস্ত। পাশাপাশি বারবার সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরা মাইকিং করে পর্যটকসহ সকল ব্যবসায়ীদের মাক্স পড়ে থাকার বার্তা দেন। বিডিও সান্তনু সিংহ ঠাকুর বলেন, ব্লকের আধিকারিক হিসেবে সকলে যাতে সুস্থ থাকে, সেটা দেখাটা আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তাই আমি নিজে এসে প্রচার করলেই যদি মানুষ মাক্স পডরতে বেশি আগ্রহ হয়। তাই আজ নিজে বকখালি পর্যটনকেন্দ্রে প্রচার করছি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours