কোচবিহার শহরের গুঞ্জবাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বাংলার অধ্যাপক উত্‍পল বর্মনের দেহ। ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর স্ত্রী ও পুত্রের দেহ। আর উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। পুলিশের ধারণা, প্রথমে স্ত্রী, তারপরে ছেলেকে খুন করে তিনি আত্মঘাতী হয়েছিলেন।

পুলিশের সন্দেহ অনলাইনে তিনি বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিতেন। পাশাপাশি তিনি অনলাইনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা লাগাতেন। আর তার জেরে ক্রমেই ঋণে ডুবে যাচ্ছিলেন তিনি। এর সঙ্গেই ঋণদানকারী সংস্থার তরফে তাঁর পরিচিতদের এসএমএস করে ওই শিক্ষককে পরোক্ষে অপদস্থ করা হত বলেও অভিযোগ। সম্ভবত তারই পরিণতিতে এই ভয়াবহ ঘটনা। তবে তাঁর সুইসাইড নোট পড়ে চোখে জল এসে যায় দুঁদে পুলিশ কর্তাদেরও।

সুইসাইড নোটে লেখা হয়েছে, আমি আগে খুব ভালোই ছিলাম। অনলাইন অ্য়াডিকশন আমাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিল। এরপরই তার জীবনের নানা কথা উল্লেখ করা হয়েছে ১২পাতার নোটে। স্ত্রী ও পুত্রকে কীভাবে গলায় তার পেঁচিয়ে খুন করা হয়েছে সেকথাও উল্লেখ করা রয়েছে নোটে। এক বন্ধুর কথা উল্লেখ করে লেখা হয়েছে. এই জন্মে তোর ঋণ শোধ করতে পারলাম না। পরের জন্মে করব। খুনের আগে স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাও বলেন তিনি। এরপর কার্যত তাঁর সম্মতিতে স্ত্রীকে খুন।

পাশের ঘরে মোবাইলে গেম খেলছিল ছেলে। তাকে ডেকে নেন উত্‍পল। ছেলে জিজ্ঞাসা করে ,মাকে মারলে কেন? ছেলে জিজ্ঞাসা করেছিল, আমাকে মারছ কেন? বাবা নোটে লিখেছেন, ভেবেছিলাম ছেলেকে মারব না, কিন্তু বাবা মা ছাড়া ও একা কোথায় ঘুরে ঘুরে বেড়াবে। এরপরই তিনি লিখেছেন, আমি চললাম। কিন্তু পুলিশের প্রশ্ন, তাঁর আয় কিছু কম ছিল না। তারপরেও কেন তিনি এই ঘটনা।তবে কী অন্য কোনও রহস্য?
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours