পরকীয়া  বাধা পেয়ে স্ত্রী ও ছোট্ট ছেলেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র কেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এলাকায়।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে।

আক্রান্ত স্ত্রী কেকা মাইতির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে আটক করল এগরা থানার পুলিশ (Police)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক নম্বর ওয়ার্ডের দিঘা মোড় এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামী ইন্দ্রজিত্‍ মাইতিকে নিজেদের হেেফাজতে নিজে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এগরা থানার পুলিশ।

এগরা দিঘা মোড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিত্‍ মাইতি দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ স্ত্রীয়ের। এ নিয়ে রোজকার অশান্তি লেগে থাকত সংসারে। কয়েক দিন ধরে সেই ঝামেলা আরও বাড়ছিল। স্ত্রীয়েরল অভিযোগ, গত একমাস ধরে স্বামী আরেকটি মেয়েকরে বিয়ে করবে বলে তাঁর উপর অত্যাচার করত। শ্বশুর-শাশুড়ি সমস্তটাই জানতেন। কিন্তু কখনও ছেলের এই অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করেননি। এদিন এ নিয়ে ফের একপ্রস্থ ঝামেলা হয় স্বামীর সঙ্গে। আর তার মধ্যেই ছেলে ও তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন স্বামী বলে অভিযোগ তাঁর।

স্ত্রীয়ের দাবি, নিজের পরকীয়ার জেরেই সেই তাঁকে ও সন্তানকে খুন করতে চান স্বামী। আর সেই কাজে পুরো সহযোগিতা করে আসছেন শাশুড়ি সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। শুক্রবার সকালে তাঁকে খুনের চেষ্টায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ইন্দ্রজিত্‍ বলে অভিযোগ। কোনওভাবে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। এরপর ওই গৃহবধূ এগরা থানায় স্বামীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ তদন্তে নেমে স্বামীকে আটক করে। পুরো অভিযোগ খতিয়ে দেখছে তারা।

নির্যাতিতা স্ত্রী কেকা মাইতি বলেন “দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমার স্বামী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। শ্বশুর-শাশুড়ি প্রত্যেকে এই ঘটনায় জড়িত রয়েছেন। তাঁদের ইন্ধন রয়েছে। স্বামীর এই সম্পর্কের কথা জানা সত্ত্বেও আমি বাড়িতে সহ্য করেছিলাম। কিন্তু গত একমাস আগে এক মেয়েকে বিয়ে করবে বলে বাড়িতে তুলে আনেন স্বামী ইন্দ্রজিত্‍। প্রতিবাদ জানালে শুক্রবার সকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে আমাকে। আমি শাস্তি চাই ওর।”

যদিও পুলিশের হাতে আটক ইন্দ্রজিত মাইতির দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছেন স্ত্রী। তিনি কোনও মারধরই করেননি। স্ত্রী ‘নাটক’ করেছেন বলে মন্তব্য তাঁর। ইন্দ্রজিতের বাড়ির লোকজন এ ব্যাপারে টুঁ শব্দ করতে রাজি নন। এদিকে এগরা থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours