পবিত্র কবর স্থানের কাজ না করেই ভুয়ো মাস্টাররুল তৈরী করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে পঞ্চায়েত দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের বাসিন্দারা। বুধবার দুপুরে ইটাহার ব্লকের সুরুন ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরের সামনে চলে এই বিক্ষোভ। এদিন ওই পঞ্চায়েতের ডামডলিয়া পূর্ব নয়া পাড়ার বাসিন্দারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাঁদের অভিযোগ, ডামডলিয়া পূর্ব নয়া পাড়ার পঞ্চায়েত সদস্য নির্দল থেকে জিতলেও পরবর্তীতে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে একাধিকবার জালিয়াতি করেছেন। ওই সংসদের পঞ্চায়েত সদস্যা মাজেদা খাতুন সেই একই রকম ভাবে নয়া পাড়ার পবিত্র কবর স্থানের মাটি ফেলার কাজ না করেই ৩ লক্ষ ২৪হাজার টাকা ভুয়ো মাস্টাররুল তৈরী করে আত্মসাত্‍ করেছে।


এই জালিয়াতির ঘটনায় পঞ্চায়েত দফতরের সরকারী কর্মীদের যোগসাজশ আছে বলেও অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। আরও অভিযোগ ওই সদস্য নির্দল হিসাবে জিতে পরে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করে। বর্তমানে তৃনমূল কংগ্রেসকেই বদনাম করছে ওই সদস্য। গ্রামবাসীরা দাবী করেছেন আমরা গ্রামের বাসিন্দারা একাধিকবার অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যাকে বলার পর কোন সঠিক উত্তর না পেয়ে, পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস সহ জেলা শাসকের কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জমা করেছি। তবুও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। সেই কারনে পঞ্চায়েত দফতরের সামনে আজকের বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। অবিলম্বে পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে সরকারি টাকা উদ্ধার করুক প্রশাসন এমনটাই দাবি তাদের।

কবর স্থানের কমিটির সদস্যরা বলেন, 'আমাদের ডামডলিয়া পূর্ব নয়া পাড়ার কবর স্থানের মাটি গ্রামবাসীরাই চাঁদা তুলে কিছু দিন আগে ভরাট করি। অথচ দেখা যাচ্ছে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা মাজেদা খাতুন আমাদের কবর স্থানের নামে মাটি ফেলার কাজ দেখিয়ে ভুয়ো মাস্টাররুল তৈরী করে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাত্‍ করেছে। আমরা অভিযুক্তর শাস্তি চাই। তবে পঞ্চায়েত সদস্যা নামের হলেও তার সব কাজ দেখা শোনা তার ছেলে মোহাজির আলম। তাই আমরা চাই কবর স্থানের কাজের নামে যারা জালিয়াতি করে টাকা তুলেছে তাদের সঠিক তদন্ত করে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হক।' যদিও পঞ্চায়েত প্রধান আনিতা দাস বলেন বিষয়টি তার জানা নেই। সেই কবর স্থানের কাজ হয়েছে কি না তার তদন্ত করা হবে। তবে ইটাহার ব্লক যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জাহেরুল ইসলাম জানিয়েছেন, 'এই ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছে। কবর স্থানের কাজ না করে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমানে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প গুলো থাকায় ব্যস্ত থাকলেও বিষয়টি দেখা হবে।'
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours