বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে সেনাবাহিনী খবর পায়, পুলওয়ামার রাজপোরা অঞ্চলে জঙ্গিরা গোপনে জড়ো হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী তল্লাশি চালাতে যায়। সেনাকর্মীদের দেখে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। রাতভর দু'পক্ষে গুলিবিনিময় চলে। শুক্রবার সকালেও সংঘর্ষ শেষ হয়নি। এর মধ্যে জানা যায়, শহিদ হয়েছেন এক সেনা জওয়ান। মারা পড়েছে এক জঙ্গিও। সেনা সূত্রে খবর, পুলওয়ামার হিনজিন গ্রামে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ চলছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে আছে সিআরপিএফ এবং পুলিশ। শুক্রবার সকালে একসময় গুলিবিনিময় থেমেছিল। পরে আবার শুরু হয়। পুলওয়ামাতে গত কয়েক মাস ধরেই তত্‍পর হয়েছে জঙ্গিরা। গত ৩ জুন পুলওয়ামার ত্রাল এলাকায় বিজেপি নেতা রাকেশ পন্ডিতকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় তিন জঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে, ত্রালে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাকেশ পণ্ডিত। গভীর রাতে সেখানে হানা দেয় জঙ্গিরা। দরজা ভেঙে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুলিতে গুরুতর জখম হন আসিফ মুস্তাক নামে এক মহিলা। শ্রীনগরের একটি হোটেলে ছিলেন বিজেপি নেতা রাকেশ পন্ডিত। তাঁর ওপর হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগরের হোটেলে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশকে না জানিয়েই পুলওয়ামায় এক বন্ধুর বাড়িতে চলে যান রাকেশ। নিরাপত্তারক্ষীও সঙ্গে নিয়ে যাননি। এই সুযোগের অপেক্ষাই করছিল জঙ্গিরা। রাতের বেলা তারা হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। তিনি বলেছেন, 'জঙ্গি হামলার খবর শুনে আমি দুঃখিত। পুলওয়ামার ত্রালে বিজেপি নেতা রাকেশ পন্ডিতের ওপর হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।' প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্রাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতিও জঙ্গি হামলার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরে এই ধরনের হিংসার ঘটনা শুধুই দুর্দশা ডেকে এনেছে। বিজেপি নেতা রাকেশ পন্ডিতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। গত বছর কুলগ্রাম জেলার ওয়াইকে পোরা এলাকায় বিজেপি যুব মোর্চার তিন নেতাকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। বিজেপি নেতারা সে সময় গাড়িতে যাচ্ছিলেন। জঙ্গিরা গাড়ি লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি ছুড়ে তাঁদের ঝাঁঝরা করে দেয়। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে জঙ্গি-নিশানা হচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours