মোমো আমাদের সকলে হট ফেভারিট ফুড।  মোমো খাওয়ার কোনও সুযোগই মিস করা যায় না। আর এই মোমোই পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে একজনের জীবন। আজ সেই গল্পই শোনাব আপনাদের। মোমো বিক্রি করেই জবলেস থেকে একজন সফল সার্টআপ ব্যবসায়ী অজয়নগরের মৌমিতা মিস্ত্রি। হাইল্যান্ডের পার্কের বিগবাজারের সামনে মৌমিতার মোমো চিত্তে দোকানটি নিশ্চই অনেকেই দেখেছেন। হয়ত সেখানে খেয়েওছেন মোমো। কিন্তু জানেন কী মৌমিতার এই দোকান গড়ে ওঠার নেপথ্যের কাহিনী?



কথায় আছে যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক হাল ছেড়ো না বন্ধু। গতবছর লকডাউনে চাকরি যাওয়ার পর হাল ছাড়েননি মৌমিতাও। সাময়িক ভেঙে পড়েছিলেন ঠিকই।
কিন্তু মনে ছিল অদম্য জেদ। রান্না করতে ভালোবাসতেন তাই রিস্ক নিয়ে একটি মোমোর দোকান খুলে ফেলেন তিনি। তবে না এই দোকানটি নয়। অজয়নগরে প্রথমে ঠেলাগাড়িতে করেই মোমো বিক্রি করতেন ভুগোলে স্নাতকোত্তর মৌমিতা। আর সেখান থেকে জনপ্রিয় হয়ে যায় মৌমিতার পিত্জা মোমো, চিজ বার্স্ট মোমো, আফগানি মোমো। তালিকায় রয়েছে চকলেট আইসক্রিম মোমোও। ধীরে ধীরে বিক্রি বাড়তে থাকে। তবে খুব একটা লাভ হচ্ছিল না।

ব্যবসা মোটামুটি চললেও অনেকেই চিনত পারত না অজয়নগরের ঠিক কোথায় বসছে এই মোমোর দোকান। তাই এবার আরেকটু বেশি রিস্ক নেওয়ার পালা। হাইল্যান্ডের পার্কের বিগবাজারের সামনে একটি দোকান ভাড়া নেন মৌমিতা। সেখানেই মৌমিতা ও তার ফিয়ান্সে বিদ্যুত মিলে দিব্যি চালাচ্ছেন দোকান। এই গোটা জার্নিতে মৌমিতার পাশে ছিলেন বিদ্যুতও।

মৌমিতার মোমো চিত্তে পাওয়া যায় ২২ রকমের মোমো। তাই এই মোমো স্বাদ পেতে চাইলে একদম দেরি করবেন না। চলে যান মোমো চিত্তে। মৌমিতার এই লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে 
কাকদ্বীপ.কম 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours