মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের হবে আগামী জুলাই মাসে। সেইমতো গত শুক্রবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কিভাবে ফলাফল মূল্যায়ন করা হবে। শনিবার সামনে এল ফলাফল প্রকাশের তারিখ। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী ২০ জুলাই ফল প্রকাশ হবে মাধ্যমিকের। অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হবে ওই মাসেরই শেষ সপ্তাহে।

করোনা মহামারীর জেরে এ বছরের মতো বাতিল হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে তা শুক্রবার স্পষ্ট করে জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এক্ষেত্রে ২০১৯ সালের নবম শ্রেণির রেজাল্ট এবং দশম শ্রেণির ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্ট নম্বরকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে।


অর্থাত্‍ বিষয়ভিত্তিক নবম শ্রেণির ফলাফলের ৫০ শতাংশ ও দশম শ্রেণির অ্যাসেসমেন্ট টেস্টের নম্বরের ৫০ শতাংশ যোগ করে নম্বর দেওয়া হবে। এই মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হলে পড়ুয়াদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সে ক্ষেত্রে ওই পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি ড. কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট মূল্যায়নের পদ্ধতি জানান উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ড. মহুয়া দাস। তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে যেমন থিওরি ৭০ ও প্র্যাকটিক্যাল ৩০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়, নম্বর বন্টনের ক্ষেত্রে সেই পদ্ধতিই মেনে চলা হবে। তবে থিওরির ৭০ নম্বরের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে। মাধ্যমিক থেকে ৪০ শতাংশ এবং একাদশ শ্রেণির রেজাল্ট থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর মিলিয়ে থিওরির মোট ৭০ নম্বরের মধ্যে নম্বর দেওয়া হবে। অন্যদিকে দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। বাকি মোট ৩০ নম্বরের মধ্যে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর গ্রাহ্য করা হবে।

থিওরির মোট ৭০ নম্বরের মধ্যে মাধ্যমিকের ৪০ শতাংশ হচ্ছে ২৮ নম্বর। এবার যদি কোনও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ চারটি বিষয়ে ৪০০ নম্বরের মধ্যে ২০০ পেয়ে থাকে, তাহলে ২৮ নম্বরের মধ্যে ওই পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হবে ১৪। অন্যদিকে, থিওরির ৭০ নম্বরের মধ্যে একাদশ শ্রেণির প্রাপ্ত নম্বরের ৬০ শতাংশ হচ্ছে ৪২। যদি কোনও পরীক্ষার্থী একাদশ শ্রেণির কোনও এক বিষয়ে ৭০ নম্বরের মধ্যে ৫০ পেয়ে থাকে, তাহলে ওই পরীক্ষার্থী ৪২ নম্বরের মধ্যে পাবে ৩০। অর্থাত্‍ সবমিলিয়ে ৭০ নম্বরের মধ্যে ওই পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হবে ৪৪। তার সঙ্গে যোগ হবে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর। এই পদ্ধতিও যদি কোনও পরীক্ষার্থী মানতে না চায়, তাহলে সেক্ষেত্রে তার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে। তবে মাধ্যমিকের মতোই একই রকম ভাবে ওই লেখা পরীক্ষার ফলাফলই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours