#তমলুক: 'সন অফ বেঙ্গল, সন অফ ইন্ডিয়া৷' রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়া হলে এই জবাবই দিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা আরও জোরাল হল৷ তৃণমূলের থেকে তিনি যে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, এ দিন পরোক্ষে তা আরও একবার শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে িদলেন বলেই মনে করা হচ্ছে৷
এ দিন ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন উপলক্ষে তমলুকে পদযাত্রা করেন শুভেন্দু৷যদিও এই অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করেননি তিনি৷ তবে পরে সংবাদমাধ্যমের পক্ষে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার রাজনৈতক পরিচয় এখন কী? জবাবে শুভেন্দু ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেন, 'আমাদের সংবিধানেই বলা আছে অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল৷ আমি বাংলার সন্তান (সন অফ বেঙ্গল), ভারতবর্ষের সন্তান (সন অফ ইন্ডিয়া)৷'
তিনি আরও বলেন, বাংলার মানুষের হয়ে তাঁর লড়াই জারি থাকবে৷ শুভেন্দু বলেন, 'অবশ্যই আমি বাংলার মানুষের হয়ে লড়ব৷ নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় করেছি, নেতাই গণহত্যার সময়ও করেছি৷'বুধবার সকালেই শুভেন্দু অধিকারী সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানিয়ে দিয়েছিেলন, 'আপনাদের সঙ্গে আর একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়৷' অথচ তার আগের দিনই মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় শুভেন্দুর সঙ্গে আলোচনায় বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই সাংসদ সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই বৈঠকের শেষ দিকে ফোনে শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ বৈঠকের পরেই তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, দলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সব সমস্যা মিটে গিয়েছে, তিনি দলেই থাকছেন৷ শুভেন্দুর এই অনড় অবস্থানে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও অনেকটাই বেড়ে যায়৷ অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর সৌগত রায়ও শুভেন্দুকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন৷ সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাতে সম্মত হয়েছিলেন শুভেন্দু৷ সেটুকুই সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে৷ এখন তিনি অবস্থান বদলালে দলের কিছু করার নেই৷ সূত্রের খবর, শুভেন্দুর সঙ্গে আর নিজে থেকে আলোচনায় যাবে না তৃণমূল৷
শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক৷ তবে বিচ্ছেদ যে হচ্ছে, এ দিন নিজেকে 'বাংলা, ভারতের সন্তান' বলে পরিচয় দিয়ে তা ফের একবার স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু৷ ফলে বিচ্ছেদ এখন সময়ের অপেক্ষা৷ শুভেন্দু নিজ মুখে সেই ঘোষণা কবে করেন, এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের৷
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours