এই চিকিৎসা পদ্ধতি করোনার নিরাময়ে পথ দেখাতে পারে।
#নয়া দিল্লি: করোনার চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে OCD ড্রাগ। এমনই জানাচ্ছেন গবেষকরা। তাঁদের কথায়, OCD অর্থাৎ অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডারের চিকিৎসায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটি বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করা হয়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রথম সপ্তাহে যদি এই ড্রাগ প্রয়োগ করা যায়, তা হলে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ অনেকটাই কমানো যাবে। শ্বাসযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে।OCD ড্রাগের কার্যকারিতা নিয়ে JAMA জর্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত ওই সমীক্ষা বলছে, ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাঁরা অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ফ্লাভোক্সামাইন নিয়েছিলেন, তাঁদের শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের সমস্যা অনেক কম। গবেষকদের মতে, এই ফ্লাভোক্সামাইনের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে, যা অনেকাংশেই করোনার সংক্রমণ কমাতে সক্ষম। একই কথা বলছেন সমীক্ষার সহলেখক আমেরিকার জন হপকিনস স্কুল অফ মেডিসিনের ক্যারোলিন ম্যাশমার। তিনি জানিয়েছেন, এই ড্রাগ মৃদু উপসর্গের রোগীদের ফুসফুসের সংক্রমণ অনেকটা কমিয়ে দেয়। আর সেই সূত্রেই এই গবেষণা করোনার চিকিৎসায় এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।
সমীক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, OCD-র কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য একটি ট্রায়াল করা হয়। এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৫২ জন। এঁদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছর বা তার উপরে। প্রত্যেকের শরীরেই করোনার মৃদু উপসর্গ বর্তমান। এই অংশগ্রহণকারীদের বেছে নেওয়ার পর তাঁদের শরীরে ফ্লাভোক্সামাইন ও প্লাসেবো প্রয়োগ করা হয়। প্রয়োগের পর দেখা যায়, এই ১৫২ জনের মধ্যে ৮০ জন, যাঁরা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ফ্লাভোক্সামাইন নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের সমস্যা অনেক কম। অন্য দিকে, বাকি ৭২ জনের গ্রুপের ছয়জনের শরীরে সমস্যা দেখা যায়। তাঁদের শরীরে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের সমস্যা ছিল।রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমেছে এঁদের। উল্লেখ্য, এই ৭২ জনের শরীরে শুধুই প্লাসেবো প্রয়োগ করা হয়েছিল।
ফলাফলের উপর ভিত্তি করে গবেষকদের বার্তা, এই ফ্লাভোক্সামাইন প্রয়োগ করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই করোনারোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার সম্ভাবনা কমে যায়। একই কথা বলছেন সমীক্ষার আরও এক সহলেখক স্টিভ কির্স। তাঁর কথায়, এই চিকিৎসা পদ্ধতি করোনার নিরাময়ে পথ দেখাতে পারে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours