আলু ,পেয়াঁজের দাম কমলেও বাজারে টের পাচ্ছেন না, ,খানিকটা হলেও স্বস্তি ফিরতে পারে মধ্যবিত্ত বাঙালির পকেটে৷

সকাল হলেই কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ঝাঁপাবে প্রতিটা বাজারে।পয়াঁজ এর দাম (Onion Price) প্রায় দেড় মাস আগে থেকে উর্ধমুখী হতে হতে,একেবারে নাগালের বাইরে চলে গেছে।সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে প্রতিদিন।সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসা ছাড়া ,আর কোনো কিছুই হয়নি। ৬ ই নভেম্বর রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে টাস্ক ফোর্স ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ঘুরে,আলু ,পেয়াঁজের দোকান থেকে দোকানে গিয়ে দাম নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেছেন। 
৭ নভেম্বর সকালে গিয়ে খুচরো বাজার গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, পেয়াঁজ কেজি প্রতি ৫ - ১০ টাকা অবধি কমেছে।অনেকে দাবি করেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে র রেডের পরেই,দাম কমেছে। মানিকতলা বাজারে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে,তার উত্তরটা পরিষ্কার দিতে চাননি দোকানদাররা।তবে ওই বাজারে পেয়াঁজ এর মান অনুযায়ী দাম ছিল ৬০ - ৭০ টাকা প্রতি কিলো।নাসিকের পিয়াঁজ এর দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে চলছে।ওটাই নাকি এখন একনম্বর পিয়াঁজ। পোস্তা ও শিয়ালদা পাইকারি বাজারে গিয়ে জানা গেল,গত সাত দিন ধরে পেয়াঁজ আমদানি বেড়েছে বাজারে।যার ফলে পেয়াঁজ এর দাম কমেছে।নাসিকের নতুন পেয়াঁজ বাজারে আসছে।যার কারণে আজ ওই দুই বাজারে পেয়াঁজ পাইকারি দর,বস্তা (৪০ কেজি ) ১৫০০-১৮০০ টাকা হিসাবে গেছে।সাত দিন আগে যার দাম ছিল ২২০০ টাকার ওপরে।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি,পুলিশের বাজারে হানা দেওয়ার ফলে,ব্যবসায়ীরা আজ খুব কম পেয়াঁজ লরি থেকে খালি করেছে।পুলিশের চাপ যদি বেশি থাকে তাহলে,পাইকারি ব্যবসায়ীরা পেয়াঁজ আমদানি করতে ভয় পাচ্ছে।এর ফলে কৃত্রিম অভাব তৈরি হতে পারে বাজারে।
বাজারে জ্যোতি, ও পোখরাজ আলুর দাম (Potao Price) গত দিনের থেকে থেকে ৫০ টাকা কমেছে।আজ জ্যোতি আলুর দাম ১৭৫০ টাকা বস্তা ছিল।পোখরাজ আলুর দাম ১৬৫০ টাকা বস্তা (৫০ কেজি) ছিল। মোটের ওপর আলুর দাম ক্রেতাদের আশানুরূপ হতে গেলে,ব্যবসায়ীরা বলছেন,যারা হাজার হাজার,লক্ষ লক্ষ বস্তা আলুর বন্ড কিনে রেখেছেন,তারা সেই বন্ড ছাড়ছেন না।যতদিন সেই বন্ড না ছাড়বেন,ততদিন আলুর দাম, এই রকম থাকবে। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ শুধু বাজার ঘুরে দেখছেন,আসল জায়গাতে আঘাত হানতে পারছে না।মনে করছেন আলু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours