অপেক্ষার অবসান। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া। ভর্তির গোটা প্রক্রিয়া চলবে অনলাইনে। ওই দিন থেকে ছাত্রছাত্রী ভর্তির পোর্টাল খুলবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জিব ভট্টাচার্য।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কমিটির ছিল। সেখানে স্নাতকে ছাত্রছাত্রী ভর্তির প্রাথমিক রূপরেখা স্থির হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আগামী ১০ নভেম্বর থেকে ভর্তির পোর্টাল খুলবে। ওই দিন থেকে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন পড়ুয়ারা। আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ফর্ম পূরণের সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। ফর্মপূরণ পর্ব মিটে যাওয়ার পরে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে নথি যাচাই প্রক্রিয়া।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মোট আসন সংখ্যা ১২৫২টি। এই সমস্ত আসনে ভর্তির ক্ষেত্রে এই বছর আর দফায় দফায় কোনও তালিকা প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ডাইরেক্ট অ্যাডমিশন। কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কলেজ-বিশ্ববিদ্য়ালয় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভর্তি হওয়ার জন্য কোনও পড়ুয়াকে ক্যাম্পাসে আসতে হবে না। অনলাইনে ভর্তি হতে হবে।

এদিকে, তিন মাস আগে রাজ্য জয়েন্টের (ইঞ্জিনিয়ারিং) ফলপ্রকাশের পর কাউন্সেলিং শুরু হয়েছিল ১২ অগস্ট থেকে। সর্বভারতীয় জয়েন্টের (মেন) ফলপ্রকাশ হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর। মাঝ নভেম্বরে পৌঁছেও রাজ্য জয়েন্ট বোর্ড এখনও জানাতেই পারছে না কত পড়ুয়া এবার রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চলেছে!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোটা প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত বিশ্ববিদ্য়ালয়ের এক পদস্থ আধিকারিকের মতে, এ বছর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া জটিল। জয়েন্টের তরফে ইতিমধ্যে মেধা তালিকা অনুসারে আগ্রহী পড়ুয়াদের তালিকা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জয়েন্ট বোর্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যে তিনদফার কেন্দ্রীয় কাউন্সেলিং শেষ। তারপরও সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কত আসন শূন্য তার হিসাবই নেই। একদিকে, সাধারণ ডিগ্রি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ও রেজিস্ট্রেশনের আগে নথিপত্র যাচাই না হওয়ার জেরে প্রকৃত পড়ুয়ার সংখ্যা নিয়ে প্রবল ধোঁয়াশা। বাধ্য হয়ে উচ্চশিক্ষা সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, কলেজগুলিকে নির্দেশ দিতে যে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের থেকে মুচলেকা নিতে, তারা সংশ্লিষ্ট কলেজের নির্দিষ্ট বিষয় ছাড়া অন্য কোথাও ভর্তি হয়নি। সেটা মিথ্যে হলে পরে রেজিস্ট্রেশনও বাতিল হয়ে যাবে। অন্যদিকে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি নিয়েও সংশয় এবং ধন্দ বাড়ছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours