সময় মতো অনুমোদন পেলে আগামী জানুয়ারিতেই ভারতে কোভিডের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এমনটাই দাবি করলেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। যদিও ওই ভ্যাকসিন তৈরির দায়িত্বে থাকা ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে ডেলিভারির থেকে পিছিয়ে রয়েছে তারা। ফলে আদরের এই দাবি আদৌ ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে আদর বলেন, “ব্রিটেন-ভারতে এই টিকার প্রয়োগ সফল হলে এবং এ দেশের নিয়ামক সংস্থাগুলির ছাড়পত্র সঠিক সময়ে পাওয়া গেলে আগামী বছরের জানুয়ারিতে ‘কভিশিল্ড’ পাওয়ার আশা করতেই পারি।”
ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘কোভিশিল্ড’ নামে করোনার টিকা তৈরি করছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ভারত-সহ গোটা বিশ্বের জন্য তার ৩০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করা হবে। এ দেশে কোভিশিল্ড উৎপাদন ও পরীক্ষার বরাত পেয়েছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (সিআইআই)। তবে জানুয়ারিতে ওই টিকা পাওয়া যাবে বলে আশা করলেও একই সঙ্গে আদর বলেন, “সবটাই নির্ভর করছে ‘কোভিশিল্ড’ কতটা প্রতিরোধক ক্ষমতাসম্পন্ন এবং কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে, তার উপর।”
এ দেশে চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষার স্তরে রয়েছে ‘কোভিশিল্ড’। ওই ফলাফলের উপরে ভিত্তি করে বিশ্ব জুড়ে আপাতত টিকার ডেলিভারি স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। গোটা বিশ্বে ডেলিভারির সময় টিকার সেল্ফ-লাইফ বাড়ানোর জন্যই এমনটা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিইও পাস্কাল সরিওট। ফলে সময় মতো ওই টিকা ডেলিভারির থেকে পিছিয়ে রয়েছে তারা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরিওট বলেন, “আমরা টিকা ডেলিভারিতে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি। ফলে এই মুহূর্তে টিকার ডোজগুলি হিমায়িত অবস্থায় রাখা হয়েছে।”
টিকা ডেলিভারির সময় নিয়ে কিছুটা অনিশ্চিয়তা তৈরি হলেও এর সুরক্ষা নিয়ে আপাতত চিন্তা নেই বলে দাবি করেছেন আদর। ‘কোভিশিল্ড’ ছাড়াও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এ দেশে কোভিড টিকা তৈরি করছে দেশীয় সংস্থা ভারত বায়োটেক। আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীদের দাবি, তাঁদের তৈরি টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ বাজারে আসতে পারে আগামী ফেব্রুয়ারির গোড়ায়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours