করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে বেশ কয়েক সপ্তাহ চিনের সরকারি কর্তাদের করোনা বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছিল ইউহানের স্থানীয় প্রশাসন। আর তার থেকেই বুমেরাং, বুলেটগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা অতিমারী, যার মাশুল গুণছে আজ গোটা বিশ্ব। এমনটাই মনে করছে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ।
মার্কিন গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু স্থানীয় প্ৰশাসনের গাফিলতিই নয়, দায় রয়েছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টিরও। তারা সরাসরি বলছেন, সংক্রমণের খবর পেয়ে বিষয়টা চেপে রাখার জন্য কোনও কসুরই করেনি চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। তারা উদাহরণ টেনে এনে বলছেন একই কাজ চিন করেছিল ২০০৩ সালে সার্স সংক্রমণ লুকোতে।
করোনা নিয়ে চিনের দায়িত্বজ্ঞান বিষয়ে ক্রমেই সুর চড়িয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু এবং ৫০ লক্ষের বেশি মার্কিন নাগরিকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা চিনকে দোষী সাব্যস্ত করতেও ছাড়েননি ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্প বিরোধীরা পাল্টা বলেছেন, ট্রাম্প প্রথম দিকে জিনপিংয়ের করোনা মোকাবিলার ভূয়ষী প্রশংসা করছিলেন, ভোট আসতেই তাঁর সুর বদলেছে।
কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দাদফতর বলছে, গোপনীয়তাই ঘাতকের ভূমিকা পালন করেছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, এমনকি চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা নিজেদের ভিতরেও মুক্তমনা হয়ে তথ্য আদানপ্রদান করেনি। চেপে গিয়েছেন পরিসংখ্যান।
মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্তার কথায়, ডিসেম্বরে সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। অথচ তাই নিয়ে প্রকাশ্যে চিন সরকার বিবৃতি দিল ফেব্রুয়ারিতে। দু'মাসের গোপনীয়তায় ততদিনে লাগামছাড়া জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে সংক্রমণ। শি জিনপিংয়ের চিন সরকারও বুঝে গিয়েছে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে, এমনটাই মনে করছেন মার্কিন দুদে গোয়েন্দারা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours