এখনও বাগে আনা যায়নি মারণ ভাইরাস করোনাকে! প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতি মুহূর্তে লড়াইয়ের ময়দানে প্রস্তুত চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই লড়াই লড়তে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁরা করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে! কিন্তু তবু তাঁরা যুদ্ধে অটল। লড়াই থেমে থাকেনি।
পশ্চিমবঙ্গেও করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাননি চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা। সোমবার গভীর রাতে করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার বাটানগর এলাকার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা মন্ডলের। ৩৮ বছরের প্রিয়াঙ্কা এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিউতে কর্মরতা ছিলেন। গত ১৬ জুলাই জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। ১৭ তারিখ তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় ১৮ জুলাই প্রিয়াঙ্কাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউ-তে ভর্তি করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। দিন চারেক আগে তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়, কিন্তু হাসপাতাল জানিয়েছে, তাতেও শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি প্রিয়াঙ্কার। সোমবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় প্রিয়াঙ্কার। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা মন্ডলের আগে থেকেই কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। হাঁপাানির তীব্র সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
এসএসকেএম হাসপাতালে প্রিয়াঙ্কার স্মৃতিতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গত প্রিয়াঙ্কা মন্ডলের স্বামীও বর্তমানে করনায় আক্রান্ত। তাঁদের ১১ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। রাজ্যে করনা পরিস্থিতিতে এই নিয়ে মোট ৩জন নার্সের মৃত্যু হল। রাজ্যের নার্সদের অন্যতম সংগঠন নার্সেস ইউনিটির সম্পাদিকা ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় জানান, '' এই মৃত্যু আমাদের শোকে পাথর করে দিয়েছে। করোনা যোদ্ধা বলার আগে সরকার আমাদের সঠিক সুরক্ষা দিক।''
Post A Comment:
0 comments so far,add yours