দেশজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাবের জেরে স্থগিত বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলিতে বাৎসরিক পরীক্ষার অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। চলতি বছরের মার্চ থেকে স্থগিত রয়েছে পরীক্ষাগুলি। দীর্ঘমেয়াদী এই পরীক্ষাগুলিকে আনলক ২-এর ছাড়ের আওতায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাই সমস্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রেখে পরীক্ষাগুলি নেওয়া যেতে পারে বলে উচ্চশিক্ষা সচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউজিসি-র নির্দেশিকা এবং একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলি নিতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কর্তৃক অনুমোদিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসারে পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা বাতিল করেছে বাংলা ও রাজস্থান সরকার৷ রবিবার মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে এপ্রিলে প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার এবং নির্দেশিকা ‘পুনর্বিবেচনা’ করতে বলেছিলেন৷ পুনর্বিবেচিত নির্দেশিকাগুলির ভিত্তি হবে ‘স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মচারী’, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন পোখরিয়াল৷
অবশেষে এবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি পরীক্ষার জন্য একটি নতুন একাডেমিক ক্যালেন্ডার এবং সংশোধিত নির্দেশিকা প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। করোনার প্রভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে সময়সূচি ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। মার্চ থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ রাজ্যেই বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল এবং অতীতের যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিক্যালের  প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
যদিও, গত ২৭ জুন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অ্যাডভাইজারি দিয়ে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না৷ চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থীদের আগের পরীক্ষার সর্বোচ্চ নম্বর ৮০ শতাংশ অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে৷ এতদিন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা যতগুলি সিমেস্টার দিয়েছেন, প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নম্বরের ৮০ শতাংশ গ্রাহ্য হবে৷ বাকি ২০ নম্বর অ্যাসাইনমেন্টের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে৷ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে বলেও জানানো হয়েছে৷ তবে এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করবেন কিংবা যারা পরীক্ষা দিতে চাইবেন, তাঁদের জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে৷ সে ক্ষেত্রে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের পরবর্তী পরীক্ষায় নম্বর চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে৷ রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থী নন, এমন পড়ুয়াদের সরাসরি পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হবে৷ নেওয়া হবে না কোনও পরীক্ষা৷ বিজ্ঞপ্তি দেখুন- https://www.caluniv.ac.in/news/ug-pg-exam-27-6-20.pdf এই লিঙ্কে৷ কিন্তু, আচমকা কেন্দ্রের নয়া নির্দেশ জারি হওয়ায় নতুন করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours