করোনা সংক্রামটাই সব হিসেবে উলটে দিল রায়গঞ্জের প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলার প্রসেজিৎ সাহার। করোনা আবহের কারণে ত্রিপুরা থেকে সন্তোষ ট্রফি টুর্নামেন্টে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন  না প্রসেনজিৎ। ছেলে বড় প্রযোগিতা অংশ নিতে না পারার অবিভাবকদেরও মন খারাপ।

ছোটবেলা থেকে ফুটবল খেলাকে ভালোবেসেছিল রায়গঞ্জ পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব কলেজ বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সাহা। আর্জেটিনার তারকা ফুটবলার মেসিকে গুরু মানেন। পঞ্চম শ্রেণিতেই উত্তর দিনাজপুর জেলা সংস্থার প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ তাঁর।

২০১৪ সালে আন্ত জেলা জুনিয়ার ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলার হিসেবে চিহ্নিত হয়।ওই বছরই রাজ্য স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান হয় রায়গঞ্জ হাঁতিয়া হাইস্কুল।সেখানে প্রসেনজিতের খেলা সকলের নজরে পড়েছিল।২০১৫ সালে অনুর্দ্ধ ১৯ বাংলা ফুটবল দল কর্ণাটকে যায়।সেই দলে প্রতিনিধিত্ব করেছিল প্রসেনজিৎ।

ওই বছরই প্রসেনজিৎ বর্ধমানে সাই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিল।সাই ক্যাম্পে একবছর প্রশিক্ষন নেবার পরই ২০১৬ সালে জুনিয়ার আই লিগ খেলার সুযোগ পেয়ে যায়।দুই বছর জুনিয়ার খেলার পরই সে ২০১৮ সালে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে যায়।

২০১৯ সালে ত্রিপুরা টাউন ক্লাবের হয়ে প্রিমিয়ার লীগে অংশ নেয়। ত্রিপুরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রসেনজিতের খেলা দেখে খুশি হয়ে তাকে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে সন্তোষ ট্রফিতে খেলার জন্য মনোনীত করেছিল।

সন্তোষ ট্রফি মত বড় টুর্নামেন্টে সুযোগ পেয়েও বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের অতিমারিতে প্রসেনজিতের সব স্বপ্ন ওলটপালট করে দিল।

উত্তর দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুদীপ বিশ্বাস আক্ষেপ করে বলছিলেন, প্রসেনজিৎ জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রশিক্ষন শিবির থেকে বড় হয়েছে।আগাগোড়াই প্রসেনজিৎ একজন ভাল ফুটবলার।সন্তোষ ট্রফিতে সে সুযোগ পেলেই নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেত।দেশের বড়বড় ফুটবল দলে তাঁর জায়গা পাকা হত।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours