অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির হাতে মার খেলেন জ্য়োতিপ্রিয়। মারা হয়েছে ঘুঁষি, এমনটাই অভিযোগ। কিন্তু এই ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করার ঘণ্টার খানেকের মাথায় তাঁকে রেহাই দিল পুলিশ। কেন?


 এক রাতের হেফাজত! ছেড়ে দেওয়া হল বালুর উপর হামলা চালানো অভিষেককে
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক


নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা হাবড়ার তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যিনি হামলা চালালেন, তিনিও হাবড়ারই বাসিন্দা। রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘিরে তৈরি হল শোরগোল। অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির হাতে মার খেলেন বালু। মারা হয়েছে ঘুঁষি, এমনটাই অভিযোগ। কিন্তু এই ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করার ঘণ্টার খানেকের মাথায় তাঁকে রেহাই দিল পুলিশ। কেন?

রবিবার আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় নিজের সল্টলেকের বাড়িতে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রাক্তন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর পিছন পিছন চুপিসারে বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন ওই যুবক। এরপরেই তাঁর উপর হামলা চালায় অভিযুক্ত। চিৎকার করতে শুরু করেন জ্যোতিপ্রিয়। কোলাহলের জেরে ছুটে আসেন কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। আটক করা হয় অভিযুক্তকে।





এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘দেখে মনে হল ওই ব্যক্তি নেশাগ্রস্থ ছিলেন। দুপুর থেকেই মনে হয় আমার বাড়িতে রেকি করেছে। যাঁরা কর্মচারী থাকেন, তাঁদের ওই অভিযুক্ত জিজ্ঞাসা করেছিলেন আমি কোথায়? রাত আটটায় যখন এখানে ফিরি, তখন সেও আমার পিছন পিছন চলে আসে। আমরা উপর হামলা চালায়। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটাল তা আমি বুঝতে পারছি না। হাবড়ার কোনও ছেলে যে আমার উপর হামলা চালাতে পারে আমি তো সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।’ এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে কীভাবে যে কেউ ঢুকে পড়তে পারেন, সেই প্রশ্নই তুলেছেন একাংশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম অভিষেক দাস। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া এলাকারই বাসিন্দা। হামলাকারী মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। নীলরতন সরকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্য়েই ওই যুবকের পরিবারকে খবর দিয়েছে পুলিশ। সোমবার সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার রেহাই দিল পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours