বন্দেমাতরম স্তোত্রের ১৫০ বছর পূর্তি পালন করা হলো রাজনগর বিশ্বম্ভর হাই স্কুলে
বন্দে মাতরম্ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৮২ সালে রচিত আনন্দমঠ উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত একটি গান। সংস্কৃত-বাংলা মিশ্রভাষায় লিখিত এই গানটি বন্দনাগীতি এবং বাংলা মা তথা বঙ্গদেশের একটি জাতীয় মূর্তিকল্প।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই গানটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। কবিতাটি মাতৃভূমির প্রতি একটি স্তবক, যা পরবর্তী ছত্রগুলোতে দেশমাতৃকাকে দেবী হিসেবে ব্যক্ত করেছে।
এই সঙ্গীতটি দ্বারা প্রাথমিকভাবে মূলত অবিভক্ত বঙ্গকে বোঝানো হয়েছিল, তাই "মা" চরিত্রটি বঙ্গমাতা হিসেবে ধরা হয়, যদিও পাঠ্যে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। ১৮৯৬ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গাওয়া হয় বন্দে মাতরম গানটি। উক্ত অধিবেশনে গানটি পরিবেশন করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৫০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে" ভারতের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা লাভ করলে বন্দে মাতরম্ গানটিকে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় স্তোত্রের মর্যাদা দেওয়া হয়।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বন্দেমাতরম স্তোত্রের দেড়শ বছর পূরণ হল। সেই উপলক্ষ্যে এই বিশেষ দিনটিকে উদযাপন করলেন রাজনগর বিশ্বম্ভর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিশোর কুমার পাত্র ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্কুলের এনসিসি বাহিনী ও সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা। এই বিশেষ দিনে ট্রি প্লান্টেশন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিশোর কুমার পাত্র ও এন সি সি ছাত্র ছাত্রীরা।
স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সর্দার


Post A Comment:
0 comments so far,add yours