*নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কুমিরের পেটে মৎস্যজীবী, ক্ষণিকের ভিডিও ভাইরাল,দেহের খোঁজে তল্লাশি প্রশাসনের*
রেবতী মালি দক্ষিণ 24 পরগনা।
সবেই বিজয়া দশমী কেটেছে বাড়িতে আত্মীয় এসেছে, একে বাড়িতে আত্মীয় তার উপরে বড় অভাব মাছ ধরে বিক্রয় করলেই চলবে সংসার,আর সেই সংসার প্রতিপালনের জন্য মাছ ধরার নেশায় জগদ্দল নদীতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কুমিরের পেটে গেল মৎস্যজীবী। তার ক্ষণিকের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া, কুমিরের সঙ্গে মৎস্যজীবীর লড়াইয়ের ভয়ংকর দৃশ্য গা শিহরে ওঠার মত। তবে আমাদের চ্যানেল এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।
ঘটনাটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পাথর প্রতিমা ব্লকের জীপ্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার দাসপুর উত্তর সুরেন্দ্রগঞ্জ এলাকায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় সংকর হাতি বছর ৪৫ এর মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি বাড়ির অভাব অনটনের জ্বালায় এবং মাছ ধরার নেশায় স্থানীয় জগদ্বল নদীতে মাছ ধরতে যায়। যখন মাছ ধরছিল তখন হঠাৎ করে জালের টান লাগে, আর বড় মাছ জালে ঢুকেছে মনে করে হাঁটু জলে নেমে জাল টানতে থাকে, ভেবেছিল উঠবে বড় মাছ। মাছ ওটা তো দূরের কথা কিছুক্ষণের মধ্যে চোখের নেমিশে কুমির হাতে জাল থাকা অবস্থায় শংকর হাতিকে মাঝে নদীতে টেনে নিয়ে যায়।
যা চাক্ষুষ করে উপরে দাঁড়িয়ে থাকা ছাগল চরাতে আসা এক গৃহবধূ, আতঙ্কে মোবাইল নিয়ে বহুদূর থেকে জুম করে ক্যামেরাবন্দি করে ক্ষণিকের ভিডিও যে ভিডিও আমাদের চ্যানেল সত্যতা যাচাই করেনি,কানে ভাসতে থাকে আমাকে বাঁচাও কুমির ধরেছে। নদী বাঁধেই চিৎকার করতে থাকে ওই গৃহবধূর ততক্ষণে সবই শেষ চোখের নিমেষেই মাঝে নদীতে নিয়ে চলে যায় কুমির। খবর দেয়া হয় গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানায়। পোস্টাল থানার ভাব তত্ত্ব আধিকারিকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী লঞ্চ এবং নৌকা নিয়ে সমুদ্রে তল্লাশি চালাতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে আরো পৌঁছায় বনদপ্তর। চলো স্থানীয় মানুষ বনদপ্তর এবং প্রশাসনের সমুদ্রে তল্লাশি। ঘন্টার ঘন্টা তল্লাশি করলেও এখনো পর্যন্ত জীবন্ত কিংবা মৃত শংকরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বাড়িতে রয়েছে শোকের ছায়া।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours