নিষেধ থাকা সত্ত্বেও সমুদ্র থেকে হাঙরের বাচ্চা ধরে নিয়ে আসছে কিছু ট্রলার। প্রশাসনের চোখে বুড়ো আঙুল দিয়ে বেআইনিভাবে চলছে হাঙ্গর বাচ্চা মাছ নিধন।
গভীর সমুদ্র থেকে হাঙরের বাচ্চা (স্থানীয় ভাষায় বলা হয় কামট) ধরে নিয়ে আসছে ট্রলার গুলি। অথচ এই জলজ প্রাণীটিকে ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মৎস্যবন্দর গুলিতে ছবি দিয়ে সাইনবোর্ডে পরিষ্কার করে তা লেখা রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে স্থানীয় বাজার গুলিতেও বিক্রি হচ্ছে হাঙরের বাচ্চা। যা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবিদরাও। তবে মৎস্যজীবীদের বক্তব্য, সমুদ্রে জাল পাতলে মাঝে মধ্যে এই বাচ্চা গুলি জড়িয়ে পড়ে। এগুলি ধরার জন্য সমুদ্রে জাল পাতা হয় না।
এবিষয়ে এক মৎস্যজীবী পিন্টু দাস বলেন, "মাঝে মধ্যে সমুদ্রে পাতা জালে হাঙরের বাচ্চা গুলি জড়িয়ে পড়ে। উপরে জাল টেনে তুললে সেগুলি মারা যায়। তখন ওই গুলি নদীতে না ফেলে দিয়ে নিয়ে চলে আসা হয়।"
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, "অতীতে এক সময় দক্ষিণ ভারতে হাঙরের চাহিদা ছিল। সেই সময় এখান থেকে হাঙর ওখানে পাঠানো হতো। তখন মৎস্যজীবীরা হাঙর ধরার লক্ষ্য নিয়ে সমুদ্রে জাল ফেলত। কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই। বর্তমান কেউ আর হাঙর ধরার জন্য সমুদ্রে জাল ফেলা না। এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অন্য মাছ ধরার সময় মাঝেমধ্যে দুই একটি হাঙরের বাচ্চা জালে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এগুলিও ধরা উচিত নয়। প্রশাসনের আরও বেশি নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে।"
স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার


Post A Comment:
0 comments so far,add yours