উত্তরবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। শুধু দার্জিলিং জেলাতেই ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।এছাড়া মিরিকে ১১ জন, মানেভঞ্জনে ৫ জন, নাগরাকাটায় ৫ জন, সুখিয়াপোখরিতে ২ জন, দার্জিলিং সদরে ১ জন, জোড়বাংলো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্যোগ কাটিয়ে রোদ উঠল উত্তরবঙ্গে, পর্যটকরা কোন রাস্তা দিয়ে নামতে পারবেন, বলে দিল পুলিশ
উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়।
লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। রবিবারই প্রকৃতির রুদ্র রূপ দেখেছে বঙ্গবাসী। বানভাসী উত্তরবঙ্গের একের পর এক জেলা। ভেঙে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলি। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পৌঁছেছে ২৮-এ। আজ উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সোমবার সকালেই দুর্যোগের মেঘ কেটে রোদ ঝলমলে উত্তরবঙ্গ।
শনিবার যেখানে একটানা বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছিল সবকিছু, রবিবার সকাল থেকে দড়ি বেঁধে স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটকদের উদ্ধার করে আনতে হয়েছে, আজ সেখানে রোদ ঝলমলে আকাশ। পাহাড় থেকে দেখা মিলছে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘারও।
উত্তরবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। শুধু দার্জিলিং জেলাতেই ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।এছাড়া মিরিকে ১১ জন, মানেভঞ্জনে ৫ জন, নাগরাকাটায় ৫ জন, সুখিয়াপোখরিতে ২ জন, দার্জিলিং সদরে ১ জন, জোড়বাংলো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তারা কীভাবে ফিরবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যটকদের অনুরোধ করেছিলেন হোটেলেই থাকতে। হোটেল মালিকরা যাতে অতিরিক্ত টাকা না নেন, সে বিষয়টি দেখে নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
উত্তরের আকাশে দুর্যোগের মেঘ কাটতেই পর্যটকদের জন্যও সুখবর মিলেছে। গতকাল রাতেই খুলে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH10)। দার্জিলিংং-কালিম্পং যাওয়ার রাস্তাও খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে হিলকার্ট রোড, পাঙ্খাবাড়ি রোডও। এই রাস্তা দিয়েই পর্যটকদের নেমে আসতে বলা হয়েছে। পাহাড়ে ওঠানামায় কোনও সমস্যা হবে না। তবে রোলিংয়ে রাস্তা এখনও বন্ধ। পুলিশের পরামর্শ, যারা আজ পাহাড়ে ওঠার বা নামার চেষ্টা করবেন, তারা যেন হাতে সময় নিয়ে বের হন, কারণ বিস্তর যানজট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours