গত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়কে পরাজিত করে জয় ছিনিয়ে নেন ডক্টর জয়ন্ত কুমার রায়। ফলে রেজাল্ট যে খুব একটা ভাল হয়েছে বলা চলে না।


এবার সাতে সাত', টার্গেট বেঁধে দিলেন অভিষেক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ফোটো)




জলপাইগুড়ি: জেলাওয়াড়ি বৈঠক করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক জেলার তৃণমূল স্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন অভিষেক। সোমবার ছিল জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক। সেখানেই সাতে সাত টার্গেট বেঁধে দিলেন অভিষেক।

গত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়কে পরাজিত করে জয় ছিনিয়ে নেন বিজেপির ডক্টর জয়ন্ত কুমার রায়। ফলে রেজাল্ট যে খুব একটা ভাল হয়েছে বলা চলে না। গত বছরের ভোটের নীরিখে দেখলে রাজগঞ্জ, ডাবগ্রাম, মালবাজার এই তিন বিধানসভা বাদ দিয়ে বাকিগুলিতে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। সেখানে বিজেপির শিবির অনেকটাই শক্ত। আবার যদি পুরসভা ভিত্তিক ফলাফল দেখা যায়, তাহলে সেখানে দেখা যাবে জলপাইগুড়ি জেলায় ৪ টি পৌরসভার (জলপাইগুড়ি সদর, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, মালবাজার) মধ্যে জলপাইগুড়ি পৌরসভায় ২৫ টি ওয়ার্ড। এর মধ্যে ২৪ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি। ১ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। আবার ময়নাগুড়ি পৌরসভায় ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে। তৃণমূল একটি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে। ধূপগুড়ি পৌরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্য ১৬ টিতে এগিয়ে বিজেপি। মালবাজার পৌরসভায় ১৫ টি ওয়ার্ডের সবকটিতে এগিয়ে বিজেপি।

এ তো গেল লোকসভা নির্বাচনের সময়। এর আগে একুশেও সাতটি বিধানসভার মধ্যে রাজগঞ্জ, জলপাইগিড়ি, মালবাজার বাদে বাকিগুলি ছিল বিজেপির। পরে উপনির্বাচন হলে ধূপগুড়ি বিধানসভা তাদের দখলে আসে।

এবার সেই জলপাইগুড়িতেই এবার আসন ছিনিয়ে নিয়ে আসতে মরিয়া অভিষেক। এদিনের বৈঠক থেকে সাতটি বিধানসভার মধ্যে সাতটিই জেতার টার্গেট দেন। পাশাপাশি, ব্লক সভাপতি বদল নিয়ে জেলা নেতৃত্বের মত নিয়েছেন অভিষেক। এই তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হবে বলে খবর। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours