জানা যায়, আনন্দপুরের ওই ডেরাতেই অভিযুক্তদের সঙ্গে ছিল এক শয্য়াশায়ী রোগী। তিনিই বর্তমানে এই পটনা-কাণ্ডের আরও একটি চর্চিত মুখ ও মূল অভিযুক্ত তৌসিফ রাজার দাদা নিসু।
প্রেমেই সব শেষ! একটা ভুলে কলকাতায় এসে পাকড়াও পটনা-কাণ্ডের তৌসিফের দাদা
গ্রেফতার নিসু খান
যাওয়ার কথা ছিল দিল্লি। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস পক্ষাঘাতগ্রস্ত শরীর নিয়ে হাজির হতে হল কলকাতায়। কথা হচ্ছে নিসু খানকে নিয়ে। শনিবার রাতে কলকাতার আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউস থেকে পটনার হাসপাতালে গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আরও চার অভিযুক্তকে।
যে এলাকায় গিয়ে ওই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ-এর কমান্ডরা। সেখানেই গ্রেফতারির সময় পৌঁছয় একটি অ্যাম্বল্যান্সও। স্থানীয়রা সন্দেহ করে, হয়তো দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলেছে পুলিশ বাহিনীর। কিন্তু তেমনটা নয়। জানা যায়, আনন্দপুরের ওই ডেরাতেই অভিযুক্তদের সঙ্গে ছিল এক শয্য়াশায়ী রোগী। তিনিই বর্তমানে এই পটনা-কাণ্ডের আরও একটি চর্চিত মুখ ও মূল অভিযুক্ত তৌসিফ রাজার দাদা নিসু।
এক মাসে ৮ মৃত্যু! ফের সেই দ্বারকেশ্বর থেকেই উদ্ধার আরও এক মহিলার দেহ
নিজের কেয়ারটেকার ও নার্সকে নিয়ে কলকাতায় আসতেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন সাংবাদিকদের গ্রেফতার নিসু খান জানিয়েছে, ‘চিকিৎসার জন্য আমার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলকাতায় আসি আমার প্রেমিকাকে নিতে। প্রথমে পার্ক স্ট্রিটে ঢুকি। তারপর আনন্দপুর। সেখান থেকেই আমাদের গ্রেফতার করা হয়। এই গোটা খুনের ঘটনায় আমি কিছু জানি না। শেরু-তৌসিফ বন্ধু। বেউর জেলে ওদের একে অপরের সঙ্গে আলাপ হয়। এবার চন্দনকে কেন মারল, তা আমার জানা নেই।’
পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি জমি বিবাদের ঘটনায় বেশ কয়েক বছর আগে মেরুদণ্ডে গুলি লেগেছিল নিসুর। তারপর থেকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছে সে। অনেক চিকিৎসার পরেও কোনও লাভ নেই। বিহার হয়ে কলকাতাতে আসে সেই চিকিৎসার জন্যই। এখান থেকে শনিবার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল তার। মাঝে কলকাতা থেকে প্রেমিকা যোগ দিতে তার সঙ্গে। কিন্তু তার আগেই সব শেষ।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours