প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, অতীতেও বাংলা সিরিয়াল নিয়ে একই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি যে মোটেও অ্যাকশন দৃশ্য পছন্দ করেন না, একবার সেই কথাও বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। তবে সম্প্রতিতে ধারাবাহিকের বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।
বাজে বাজে জিনিসগুলো শেখাচ্ছে', বাংলা সিরিয়ালের গল্প নিয়ে চোখ রাঙানি মমতার
দেখতে-দেখতে ৪৫ বছর পার। বাংলা ইন্ডাস্ট্রি হারিয়েছে তার ‘ম্যাটিনি আইডল’কে। এত বছর হয়ে গেলেও, উত্তম কুমার আজও বাঙালির মনে সমান জায়গা করে রেখেছেন। আর সেই মহানায়কের প্রয়াণ দিবসে বিশেষ সম্মান সম্মানিত হয়ে থাকেন বাংলার শিল্পীরা। ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হয় ‘মহানায়ক সম্মান’। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই আবার বাংলা সিরিয়াল নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বর্তমানে সিরিয়ালের বিষয়বস্তু নিয়ে ঘোর অভিযোগ তাঁর। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বললেন, “সিরিয়াল যাঁরা করেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলবো, এখন সারাক্ষণ সিরিয়ালগুলোতে দেখছি– এ ওকে বিষ দিচ্ছে, ও একে বিষ দিচ্ছে। একটা পরিবারে তিনজন ঝগড়া করছে। একটা কেন্দ্রীয় চরিত্র, তো দুটো ঝগড়ুটে চরিত্র। আর বাজে বাজে জিনিসগুলো শেখাচ্ছে। এতে কিন্তু সমাজে বাচ্চারা ভুল করছে। অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। আজ নয়, তবে সমস্ত টিভি সিরিয়ালের মালিকদের আমি বলব, এটা লীনাদিদের (লীনা গঙ্গোপাধ্যায়) হাতে নেই। যাঁরা মালিক, তাঁদের হাতে আছে। দয়া করে খারাপ কিছু শেখাতে যাবেন না। আর সিরিয়াল বাড়াতে হবে বলে, রোজ গুন্ডামি! বাড়ান ভাল জিনিস দিয়ে। কত-কত সুন্দর বিষয় আছে। হাসি-খুশি-মজা-সামাজিক গল্প, এগুলো দেখান। যে গল্প আমার সংস্কৃতিকে ভালবাসে, যে গল্প মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে, আবেগকে জাগ্রত করে, সেগুলো দেখান।”
কাজ আটকে থাকার অভিযোগের পর এবার দ্বন্দ্ব বেলেঘাটা খালের জল নিয়ে, সংঘাত বাঁধল কেন্দ্র-রাজ্যের
রামায়ণের রাম হতেন সলমনই, ভাইয়ের একটা ভুলে ভেস্তে গেল সবটা
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, অতীতেও বাংলা সিরিয়াল নিয়ে একই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি যে মোটেও অ্যাকশন দৃশ্য পছন্দ করেন না, একবার সেই কথাও বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। তবে সম্প্রতিতে ধারাবাহিকের বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। এখন দেখার, আগামীতে চিত্রনাট্যে কতটা বদল ঘটে।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours