স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক এবং চুলের যত্নে নিম পাতা দারুণ কাজ করে। নিম পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, ই, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড এবং নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ঘন ও লম্বা চুল চান? যদি নিম পাতা মাখেন এভাবে ৭ দিনেই হবে কামাল! ঘন ও লম্বা চুল চান? যদি নিম পাতা মাখেন এভাবে ৭ দিনেই হবে কামাল! ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা…’ জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কবিতার এই লাইনটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। একমাথা ঘন, কালো ও লম্বা চুল কোন মহিলা চান না বলুন তো! এই ইচ্ছেপূরণের জন্য নিম পাতা যে একেবারে ম্যাজিকের মতো কাজ করে, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। সঠিক উপায়ে নিম পাতা ব্যবহার করলে মাত্র ৭ দিনে তফাৎ নজরে পড়বে। স্বাদের দিক থেকে দেখলে গেলে নিম পাতা তেঁতো ঠিকই, কিন্তু গুণের বিচারে অনেকটাই উপরে থাকার মতো। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে নিম পাতা খুব কার্যকরী। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক এবং চুলের যত্নে নিম পাতা দারুণ কাজ করে। নিম পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, ই, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড এবং নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিম পাতা চুলের কোন সমস্যা ঠিক করে? চুল পড়া, খুশকির মতো নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় নিম পাতা। সেইসঙ্গে চুল মজবুত করতেও বেশ কাজে লাগে এই পাতা। নিম পাতা মাথায় কীভাবে মাথায় ব্যবহার? প্রথমে এক কাপ নিম পাতা ধুয়ে নিন। এক প্যানে পাঁচ কাপ জল দিয়ে তা ফোটান। রং সবুজ হয়ে গেলে গ্যাস থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এরপর ওই জলে চুল ধুতে পারেন।নিম পাতার সঙ্গে আমলকি গুঁড়ো ও গরম জল দিয়ে একটি পেস্ট বানান। ওই মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে ১৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুতে হবে। প্রয়োজন মনে হলে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিম পাতার হেয়ার মাস্কও ব্যবহার করা যায়। কয়েকটি নিম পাতা পিষে নিতে তাতে নারকেল তেল দিয়ে পেস্ট বানান। সেই মিশ্রণ মাথায় ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এবার শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।নিম পাতা এবং মধু একসঙ্গে মিলিয়ে একটি মিশ্রণ বানান। সেটি চুলে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শেষে শ্যাম্পু করে নিন। এটি চুল নরম করে ও উজ্জ্বল ভাব আনে।উপরিল্লিখিত টোটকার কোনও একটি ঠিক করে ব্যবহার করলে মাত্র ৭দিনে চুল পড়া কমবে। সেইসঙ্গে চুলের স্বাস্থ্যও ভালো হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours