শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তীব্র সঙ্কটের জন্য শুরুতেই দিনে দিনে টিভি চ্যানেল চালানোর খরচ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরা হয়েছে। একইসঙ্গে একাধিক দেশ কাঁপানো ওভার-দ্য-টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্মের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কথা বলা হয়েছে।
OTT-তে বুঁদ গোটা দেশ, কিন্তু জানেন তলেতলে বড়সড় সঙ্কটে ৫ লাখের বেশি চাকরি
প্রতীকী ছবি
OTT– মাত্র ক’টা বছর আগেও নামটার সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত হতে দেখা যায়নি শহুরেদেরও। কিন্তু, এখন যে দিকেই চোখ যায় সর্বত্রই ওটিটি-র রমরমা। তথ্যচিত্র হোক বা সিনেমা, এমনকী ছোটখাটো ভিডিয়ো স্টোরি হোক বা শর্ট ফিল্ম, বিনোদনের অফুরান ভাণ্ডার নিয়ে বসে আছে হরেক রকমের ওটিটি। হাতছানি দিচ্ছে নিত্যনতু অফার, স্পেশ্যাল ডিসকাউন্ট নিয়ে। এমনকী ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোফাইডাররাও এখন তাঁদের একাধিক প্ল্যানের সঙ্গে বিনামূল্যেই দিচ্ছে নিত্যনতুন সব ওটিটি-র সাবস্ক্রিপশন। অন্যদিকে মাসে মাত্র ১০০ থেকে ২০০ টাকা খরচ করেই মিলছেই সারা মাস ইচ্ছাখুশি অসংখ্য সিনেমা, ওয়েব সিরিজ দেখার সুযোগ। কিন্তু, জানেন কী এই ওটিটি-র দাপটে বিগত কয়েক বছরে চরম বেকায়দায় পড়েছে টেলিভিশনের দুনিয়া। তথ্য বলছে, গত সাতবছরে এই টেলিভিশিন সেক্টর থেকেই চলে গিয়েছে অসংখ্য মানুষের চাকরি। ঝুঁকির মুখে আরও হাজার হাজার চাকরি।
সোমবার সামনে এসেছে অল ইন্ডিয়া ডিজিটাল কেবল ফেডারেশন (AIDCF) এবং EY ইন্ডিয়ার ‘State of
শীর্ষক যৌথ প্রতিবেদন। তাতেই বলা হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে মোট ৫,৭৭,০০০ চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ‘পে-টিভি’ গ্রাহকের সংখ্যা কমে যাওয়াই এই পতনের মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে যেখানে এই খাতের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৫.১ কোটি। যা ২০২৪ সালে কমে হয়েছে ১১.১ কোটি। যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৭.১ থেকে ৮.১ কোটিতে নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস।
ঠিক কোন কোন কারণে এত বড় সঙ্কট?
‘
’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তীব্র সঙ্কটের জন্য শুরুতেই দিনে দিনে টিভি চ্যানেল চালানোর খরচ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরা হয়েছে। একইসঙ্গে একাধিক দেশ কাঁপানো ওভার-দ্য-টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্মের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু বিনামূল্যের পরিষেবার কথা আলাদা করে বলা হয়েছে। তথ্য বলছে, ২০১৮ সাল থেকে চারটি ডিটিএইচ প্লেয়ার এবং দশটি প্রধান কেবল টিভি সংস্থার মোট রাজস্ব ১৬ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। যেখানে তাদের মার্জিন ২৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তাদের মোট রেভিনিউ ২০১৯ সালে ছিল ২৫,৭০০ কোটি টাকা। যা ২০২৪ সালে কমে হয়েছে ২১,৫০০ কোটি টাকায়।
রিপোর্ট বলছে, এই সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয় কেবল অপারেটররা (এলসিও)। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৯৩ শতাংশ এলসিও তাঁদের গ্রাহক হারিয়েছে। প্রায় অর্ধেকের মাসিক আয় কমেছে, অন্যদিকে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি অপারেটর ৪০ শতাংশেরও বেশি গ্রাহক হারিয়েছে। একইসঙ্গে বর্তমান সময়ে পাইরেসি রোখাও য়ে একটা বড় চ্যালেঞ্জ তাও বারবার মনে করানো হচ্ছে। যার ফলে মিডিয়া এবং বিনোদন খাতে বার্ষিক ২০,০০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours