জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগে MAYDAY দিয়েছিলেন পাইলট। সুতরাং পাইলট বিপদ আঁচ করেছিল আগেই।
পাখির ধাক্কাতেই নিষ্ক্রিয় হয়ে গেল বিমানের দুই ইঞ্জিন! বিবৃতিতে কী জানাল DGCA
বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সোজা মাটিতে ভেঙে পড়ল বিমান। ভয়াবহ বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে গেলেন যাত্রীরা। ২৪২ জন যাত্রীই দগ্ধ হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। ককপিটে যখন বসেছিলেন দুই অভিজ্ঞ পাইলট, তখন প্রশ্ন উঠছে, কী এমন ঘটল? যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি অন্য কোনও কারণ? আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে এবার বিবৃতি দিল অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ (DGCA)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ এয়ারক্রাফট বিমান আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গাটউইকের দিকে রওনা হয়েছিল। সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়াপ পরই আচমকা দুর্ঘটনা ঘটে। ডিজিসিএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২৪২ জনের মধ্যে ছিলেন ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু।
ডিজিসিএ উল্লেখ করেছে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই অভিশপ্ত বিমানের ককপিটে ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল, যাঁর ৮২০০ ঘণ্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া কো পাইলট ক্লাইভ কুন্দ্রারও ১১০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ দুজনেই ছিলেন অভিজ্ঞ পাইলট।
ডিজিসিএ আরও জানিয়েছে, পাইলট MAYDAY কল দেওয়ার পর এটিসি-র তরফ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বিজে মেডিক্যাল কলেজের ছাদে ইউজি হস্টেলের ছাদেই পড়ে যায় বিমানটি। বহু এমবিবিএস ছাত্রছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
সব শেষে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পাখির ধাক্কার কথা উল্লেখ করেছে ডিজিসিএ। বিমানের দুটি ইঞ্জিনেই পাখির ধাক্কা লেগেছিল বলে অনুমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার। সঙ্গে সঙ্গে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, সবটাই অনুমান করা হচ্ছে। ব্ল্যাক বক্স সামনে এলে তবেই আসল কারণ স্পষ্ট হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours