রাজ্য সরকারের এই নতুন আবেদনের কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যৌথ মঞ্চ। আন্দোলন যে নতুন করে শুরু হবে, সেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে মঞ্চের তরফে।

বরাদ্দ নেই', দেওয়া হচ্ছে না ২৫ শতাংশ DA, ফের সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে রাজ্য

নয়া দিল্লি: এবারও ডিএ দিল না রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দেওয়া হল না মহার্ঘ ভাতা। আজ, ২৭ মে শীর্ষ আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হল। কিন্তু ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেওয়া যে সম্ভব নয়, তা কার্যত আদালতে জানিয়ে দিল রাজ্য। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টে ফের নতুন আবেদন জানানো হল রাজ্য সরকারের তরফে।

মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। শেষ পর্যন্ত আদালত ৬ সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। রাজ্যের আর কোনও যুক্তি না শুনেই, শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলেছিল, বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতেই হবে। আশা দেখেছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকল না সেই আশাও।

এটিও পড়ুন
বিয়ের ৫ দিন আগে বেঁকে বসেন সলমন, কোন নায়িকা ছিলেন পাত্রী?
বিবাহ বিচ্ছেদের পর দুই সন্তানের জন্যে কত টাকা পাঠান সইফ?
কেন্দ্রের বিরাট সিদ্ধান্তে অর্ধেক হবে রাস্তায় খরচ, বাঁচবে আপনার প্রচুর টাকা!
আজ, ২৭ জুন, শুক্রবার বকেয়া ডিএ-র জন্য নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হল। এদিনই আরও ছ’মাস সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল রাজ্য সরকার। রাজ্যের যুক্তি, বকেয়া ডিএ দিতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, চলতি অর্থবর্ষে সেই অর্থ বাজেটে বরাদ্দ করা হয়নি।

এদিকে, যেহেতু আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন রাজ্যের তরফে করা হচ্ছে, সেই কারণে প্রদেয় অর্থ আপাতত কোর্টের কাছে জমা রাখার অনুমতি চাইল রাজ্য। কারণ রাজ্যের বক্তব্য, কর্মীদের ওই অর্থ দিয়ে দেওয়া হলে, পরবর্তী সময়ে যদি এই নির্দেশ রাজ্যের পক্ষে যায়, তাহলে টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।

রাজ্যের এই আবেদনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। তাদের বক্তব্য, রাজ্য়ের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কোনও সদিচ্ছা নেই, তাই দেওয়া হল না। এই নিয়ে আন্দোলনে যে নতুন করে শান দেওয়া হবে, তেমনটাই বলছেন আন্দোলনকারীরা।

তবে, রাজ্যের হাতে যে ডিএ দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই, সেটা নতুুন কোনও বক্তব্য নয়। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি একাধিকবার এই বক্তব্য তুলে ধরেছেন আদালতের কাছে। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এদিন বলেন, “আমরা এই আবেদনের বিরোধিতা করব। তবে, রাজ্য আসলে চাইছে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত বিষয়টা ঠেকিয়ে রাখতে। ভোটে পরাজিত হলে নতুন সরকারের ঘাড়ে দায়িত্ব বর্তাবে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours