রাতের অন্ধকারে পরপর গুলি তৃণমূল নেতাকে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথাড়ি কোপ
রাজনৈতিক কারণ? নাকি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও সমস্যা! খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ১২ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতী ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
রাতের অন্ধকারে পরপর গুলি তৃণমূল নেতাকে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথাড়ি কোপ
নৃশংসভাবে খুন তৃণমূল কর্মী। পরপর গুলি চালিয়েই থেমে যাননি আততায়ীরা, মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপও দেওয়া হয়। ভয়াবহ ঘটনা বসিরহাটে। তৃণমূল কর্মী আনার মোল্লাকে খুনের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনার তদন্তে বসিরহাট থানার পুলিশ। কী কারণে এভাবে খুন করা হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোনা গ্রামের হাজিবাগের মোড়ের ঘটনা। সোমবার রাতে আনার মোল্লাকে তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মোটরবাইকে চেপে একদল দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বছর ২৮-এর ওই তৃণমূল কর্মী যখন গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন, তখন তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্রে এলোপাথাড়ি কোপ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিলেন আনার মোল্লা। তা দেখে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই যুবককে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানান সোমবার রাতে তাঁরা হাজিবাগ এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি মোটর বাইকে বসেছিলেন ওই তৃণমূলকর্মী। অন্ধকারে হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। ১২ থেকে ১৫ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী পায়ে হেঁটে গিয়ে তাঁকে গুলি করে ও তারপরে কুপিয়ে খুন করে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঘোনা গ্রামে।
জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘হয়ত দেখা যাবে উনিও জমি মাফিয়া ছিলেন।’ বিবাদের জেরেই খুন বলে অনুমান করছেন তিনি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours