এর আগে ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের সমাবেশ শুধু মমতার ছবি আছে, অভিষেকের ছবি না থাকা নিয়ে কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। এরপরও কিন্তু ছবি নিয়ে বিতর্ক বন্ধ হয়নি।
অভিষেক নয়, থাকবে শুধুই মমতার ছবি, কারণ ব্যাখা করলেন সুদীপ
একুশে জুলাইয়ের পোস্টার
বর্ষবরণের দিন ‘ক্যালেন্ডার’ বিতর্ক থেকে শুরু করে নেতাজি ইন্ডোরের সভা, তৃণমূলের অন্দরে ছবি বিতর্ক কম হয়নি। এবার সামনেই রয়েছে ২১শে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ। তার আগে দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন এবার ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশের পোস্টারে থাকবে শুধুই সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ। থাকবে না সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ছবি। কিন্ত কেন? সে কথা পরে নিজেও জানিয়েছেন সুদীপ।
শনিবার ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতি মিটিং ডাকে তৃণমূল কংগ্রেস। ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে চলে এই মিটিং। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে পেনড্রাইভে ২১ জুলাই কর্মসূচির পোস্টার দেওয়া হয়েছে। সেখানে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “অভিষেক নিজেই বলেছেন ২১ শে জুলাইয়ের কর্মসূচিতে ছিলেন না। সেই কারণে শুধুই মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকবে।” উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে যখন জ্যোতি বসুর সরকার ছিল, সেই সময় তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বাধা দেয়। গুলি চালায়। সেই গুলিতে তেরো জন তৃণমূল কর্মী প্রাণ হারান। তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবছর এই শহিদ সমাবেশ করেন। যে সময় এই ঘটনা ঘটেছিল, সেই সময় যেহেতু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না, সেই কারণেই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ এমন কথা বলেছেন।
এর আগে ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের সমাবেশে দেখা গিয়েছিল শুধুই মমতার ছবি। তবে সংশ্লিষ্ট সভায় অভিষেকের ছবি না থাকা নিয়ে কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। এরপরও কিন্তু ছবি নিয়ে বিতর্ক বন্ধ হয়নি। ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে ক্যালেন্ডার পাঠানো হয়। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির আকৃতির তুলনায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় আকৃতির ছবি ছাপা হয়। পরবর্তীতে আবার রাজ্য নেতৃত্ব ওই ক্য়ালেন্ডার বদলে দেয়। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে নেতাজি ইন্ডোরে সভা হয়। সেখানে দেখা যায় শুধু সুপ্রিমোর ছবি। ওই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বারেবারে বলেছিলেন সংগঠনের তিনিই শেষ কথা। আরও দশ বছর তিনিই দল চালাবেন। এখানেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, দলের শেষ কথা যে শুধুই মমতা সেই বিষয়টিই কি আরও একবার বোঝাতে চাইলেন নেত্রী?
Post A Comment:
0 comments so far,add yours