আঁচ পেয়েছিলেন, বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে। আরও কেউ আহত কি না, তা দেখতে এগোচ্ছিলেন, সেই সময়ই আরেকটা বিস্ফোরণ হয়। ভয়ে-আতঙ্কেই তিনি আর এগোতে পারেননি।


ঘড়িতে তখন ১টা ৪২, অমিতই প্রথম ফোন করেছিলেন ১০৮-এ, কী দেখেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী?
প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী অমিত রাজপুত।


কাজে ব্যস্ত ছিলেন, হঠাৎ দেখতে পেয়েছিলেন যে সামনে দিয়ে কয়েকজন এগিয়ে আসছে। গুরুতর আহত তাঁরা, শরীর সম্পূর্ণ ঝলসে গিয়েছে। দেখেই দৌড়ে গিয়েছিলেন। ধরে ধরে তাদের বাইরে এনেছিলেন। এরপরই ফোন করেন দমকল ও ইমার্জেন্সি সার্ভিস ১০৮-এ। অমিত রাজপুত। তিনিই প্রথম দুর্ঘটনার খবর দিয়েছিলেন। তখনও জানতেন না যে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।


আস্ত একটা বিমান যে ভেঙে পড়েছে, তা জানতেন না অমিত রাজপুত। তিনি শুধু দেখেছিলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়েকজন ব্যক্তি বিজে হাসপাতালের হস্টেলের দিক থেকে আসছে। তাদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করেই দমকলে ফোন করেন। ঘড়িতে তখন সময়, দুপুর ১টা ৪২ মিনিট। অমিতই প্রথম দমকল ও ইমার্জেন্সি সার্ভিসে খবর দেন।

আঁচ পেয়েছিলেন, বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে। আরও কেউ আহত কি না, তা দেখতে এগোচ্ছিলেন, সেই সময়ই আরেকটা বিস্ফোরণ হয়। ভয়ে-আতঙ্কেই তিনি আর এগোতে পারেননি। অমিত জানান, বিমান ভেঙে পড়ার মতো বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা বুঝতে পারেননি। বিস্ফোরণের শব্দ সেরকম জোরাল ছিল না। তবে আগুনের বীভৎসতা ভয়ঙ্কর ছিল। তাই ইচ্ছা থাকলেও, এগোতে পারেননি।


তখনও তিনি বা আশেপাশের লোকজন জানতেন না যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়েছে। এরপর ধীরে ধীরে দমকল, অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ওই মুহূর্তের কথা মনে করে এখনও কেঁপে উঠছেন অমিত। সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না যে কী বীভৎস দৃশ্য ছিল। প্রথম তিন-চারজনকে যখন বের করে আনেন, তখন তারা যেভাবে ঝলসে গিয়েছিলেন, ভিতরে দুর্ঘটনাস্থলে দৃশ্যটা তার থেকে অনেক গুণ বেশি ভয়াবহ ছিল।”

পরে অমিত জানতে পারেন যে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানের সকল যাত্রীরাই পুড়ে মারা গিয়েছেন। কপাল জোরে রক্ষা পেয়েছেন শুধু একজন যাত্রী।

আরেক প্রত্য়ক্ষদর্শী ঈশান ব্রহ্মট, বলেন, “আমরা কাজ করছিলাম, হঠাৎ দেখলাম তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় আসছেন। দুজন শুয়ে পড়লেন। তাদের শরীর সম্পূর্ণ ঝলসে গিয়েছিল। আমরা অ্যাম্বুল্যান্সে ফোন করি। আসতে সময় লাগছিল, তাই বাইকে করেই আহতদের নিয়ে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স আসে। আমরা জানতে পারি যে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours