অভিযোগ, ময়না গ্রামের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জালিয়াতি করে নিজের নামে করে ফেলেছেন বিশ্বনাথ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। যিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী এবং এলাকায় জমি মাফিয়া বলেই পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকার অনেক পরিবারের বিশেষ করে আদিবাসীদের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।


 একটা গোটা স্বাস্থ্যকেন্দ্রই নাকি গিলে খাওয়ার চেষ্টা! উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ
বিক্ষোভ


 এবার সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রই নিজের নামে রেকর্ড করে নিয়ে দখল নেওয়ার চেষ্টা তৃণমূলর। স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ এলাকার দখল নিতে প্রস্তুত এলাকার তৃণমূল নেতা কর্মীরা। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র পাহারা দিতে ছুটে গেলেন বহু গ্রামবাসী। অভিযোগ জমা জানানো হয়েছে বিএমওএইচ সহ পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে। ইতিমধ্যেই ঘটনা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে আইনত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। অন্যদিকে, অভিযোগ পেয়ে ছুটে গেলেন এলাকার বিজেপি বিধায়কও। উত্তেজনা মালদহের গাজোলের আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়না গ্রামে।


অভিযোগ, ময়না গ্রামের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জালিয়াতি করে নিজের নামে করে ফেলেছেন বিশ্বনাথ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। যিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী এবং এলাকায় জমি মাফিয়া বলেই পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকার অনেক পরিবারের বিশেষ করে আদিবাসীদের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি শুধু একা নয়, স্থানীয় তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও তাঁর সঙ্গে রয়েছ। তাই বার বার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। এবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রই দখল করে নিতে চাইছে। জালিয়াতি করে নিজের নামে রেকর্ড করে।

কিছুদিন আগেই গ্রামবাসীরা জানতে পেরেছিলেন ওই ব্যক্তি সহ কয়েকজন গ্রামের স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ জায়গা নিজের নামে জালিয়াতি করে রেকর্ড করে নিয়েছে। এরপর তাঁরা খোঁজ খবর করে তথ্য বের করেন। তারপরেই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানান। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। এরপরেই কয়েকজন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ কিছু জায়গার দখল নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে গ্রানবাসীরা স্বাস্থ্য কেন্দ্র বাঁচাতে উদ্যোগী হন। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী বিশ্বনাথ মজুমদার আর ওই চত্বরে যাননি। এমনকি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করাও যায়নি।

তবে মালদা জেলা তৃণমূল মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, “এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। কাউকেই রেয়াত করা হবে না। অভিযুক্ত তৃণমূল করে না অন্য দল করে তা নিয়ে কিছু যায় আসে না। সে যেই হোক কঠোর আইনি ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপরে নির্ভর করে পাঁচ থেকে ছয় হাজার গ্রামবাসী। জানা যায়, একসময় এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলার জন্য জমি দান করে ছিলেন এক ব্যক্তি। এখন স্বাস্থ্য কেন্দ্রই বেহাত হওয়ার মুখে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours