বোমা মেরেই শান্তি আনলেন ট্রাম্প? মিলবে নোবেল?
ইরান হামলা চালিয়েছিল কাতারের আল উদেইদ মার্কিন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার সবচেয়ে বড় ঘাঁটি। দশ হাজার সেনা, একাধিক মার্কিন যুদ্ধবিমান থাকে ঘাঁটিতে। হামলার খবর থাকায় আগে থেকেই ঘাঁটি ফাঁকা করে দিয়েছিল আমেরিকা।
বোমা মেরেই শান্তি আনলেন ট্রাম্প? মিলবে নোবেল?
প্রতীকী ছবি
কাতারের দোহা। ২০২২-এর ১৮ ডিসেম্বর এই শহরেই ফুটবল বিশ্বকাপ হাতে তুলেছিলেন লিওনেল মেসি। সোমবার রাতে সেই শহরেই হুলস্থুল। দোহা বিমানবন্দর বন্ধ। কাতারের আকাশ জুড়ে রেড সিগন্যাল। নোটাম জারির কিছুক্ষণের মধ্যেই দোহার আকাশে পরের পর ইরানি মিসাইল। মিসাইল ধ্বংস করতে শুরু করে কাতারের এয়ার ডিফেন্সও। সবাই ভেবেছিলেন, যুদ্ধের পরিধি আরও বাড়বে। কিন্তু হল উল্টোটা। সবাই যখন বলছিল হু হু করে দাম বাড়বে তেলের সেখানে দেখা গেল কাতারে ইরানি হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করে। তথ্য় বলছে, ২৫ জুন ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৮৯ ডলারে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৫ ডলারে।
সাধারণত, যুদ্ধের তীব্রতা বাড়লে তেলের দাম কমে। উল্টোটা হল কেন? সোমবার রাতে সওয়া একটা নাগাদ গোটাটা স্পষ্ট করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, আমাদের স্ট্রাইকের সরকারি প্রত্যাঘাত করল ইরান। যদিও খুবই দুর্বল বদলা। ১৪টি মিসাইল ছুড়েছিল। ১৩টি নামানো হয়। ১টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও ক্ষতি হয়নি। ট্রুথ সোশ্যালে লেখা পোস্টের একেবারে শেষে বোমা ফাটিয়েছেন ট্রাম্প। লিখেছেন, আগেই নোটিস দিয়ে হামলার পর ইরানকে ধন্যবাদ। তাই কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ বার ইরান শান্তির পথে এগোতে পারে।
এটিও পড়ুন
তৃণমূল নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দিল কোর্ট, শোনা মাত্রই মিষ্টিবিলি তৃণমূলেরই
ইরান হামলা চালিয়েছিল কাতারের আল উদেইদ মার্কিন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার সবচেয়ে বড় ঘাঁটি। দশ হাজার সেনা, একাধিক মার্কিন যুদ্ধবিমান থাকে ঘাঁটিতে। হামলার খবর থাকায় আগে থেকেই ঘাঁটি ফাঁকা করে দিয়েছিল আমেরিকা। প্রশ্ন উঠছে এ কি তবে গট-আপ যুদ্ধ? লোক দেখানো হামলা চালিয়ে যুদ্ধ থেকে বেরোনোর পথ খুঁজছিল ইরান? আরও একবার শান্তির দূত হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে মরিয়া ট্রাম্প?
সোমবার মধ্যরাতে ভারতীয় সময় রাত সাড়ে তিনটেয় নিজেই সংঘর্ষবিরতির দাবি করেন ট্রাম্প। শান্তির সপক্ষে আরও একবার সরব হন। শান্তি কী ভাবে এল? এর উত্তরও তাত্পর্যপূর্ণ। B2 বোমারু বিমানের পাইলটদের ধন্যবাদ দিয়েছেন ট্রাম্প। B2-র পাইলটরা নিখুঁত নিশানা করতে না পারলে ‘ডিল’ হত না, বলেছেন ট্রাম্প। তবে কি বোমা মেরেই শান্তি আনলেন ট্রাম্প? বোমা মেরে শান্তি আনলেও কি নোবেল শান্তি পুরস্কার মিলতে পারে? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, শান্তি কি আদৌ আসবে? প্রশ্ন ঘুরছে আন্তর্জাতিক আঙিনায়। সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা হলেও ইরান-ইজারায়েলের হামলা পাল্টা হামলা এখনও কমেনি। তবে ঝাঁঝ কমেছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours