প্রসঙ্গত, এই ছবির গৌরাঙ্গ ও নিত্যানন্দের বেশে একটি ছবিতে যিশু সেনগুপ্ত ও দিব্যজ্যোতি দত্তকে দেখা যাচ্ছে। সেই ছবি এই মুহূর্তে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় নিজেই এই ছবি তাঁর স্যোশাল মিডিয়ার পাতায় প্রকাশ করেছেন।
দিব্যজ্যোতি ছাড়লেন আমিষ? নিষ্ঠার সঙ্গে করে চলেছেন গৌরাঙ্গের পাঠ


অনেকদিনের পরিকল্পনা এবার পর্দায় রূপ পাচ্ছে। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ‘লহো গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির শ্যুট শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। ছবিতে তিনটি সময়কাল, তিনটি গল্প, এক সূত্রে বাঁধতে চেয়েছেন পরিচালক। সেখানে কখনও চৈতন্য মহাপ্রভু ও তাঁর সময়কাল, কখনও নটী বিনোদিনী, আবার কখনও গিরিশ ঘোষের মতো নানা চরিত্র পর্দায় ধরা দেবে। বর্তমান, নয়ের দশক এবং শ্রীচৈতন্যর সময়কাল থাকবে একই ছবিতে। আর তাই সৃজিত মুখোপাধ্যায় তাঁর স্বপ্নের সিনেমা তৈরির ক্ষেত্রে কোনওরকম খামতি রাখছেন না। একটা সময়ে এই ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ছিল। নানা কারণে এই ছবি বারবার আটকে গিয়েছিল, বদলেছে ছবির শিল্পীরা, পাল্টেছে অনেককিছুই। তবে এবার সব স্বপ্ন সত্যি হওয়ার পালা।


এই ছবিতে গৌরাঙ্গের চরিত্রে দেখা যাবে দিব্যজ্যোতি দত্ত ও ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। নিত্যানন্দের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত। যিশু সেনগুপ্তকে বাঙালি একটা সময়ে গৌরাঙ্গ রূপে পেয়েছিল, এই চরিত্রে অভিনয় করেই বাংলার অভিনয় জগতে নিজের পরিচিতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। তাই ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে নিত্যানন্দের চরিত্রে যিশুর অভিনয় করা নিশ্চয়ই তাঁর জন্য নস্টালজিক। তবে এই ছবিতে যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে গৌরাঙ্গের চরিত্রে অভিনয় করে আপ্লুত অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত। TV9 বাংলার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দিব্যজ্যোতি বললেন, “এই চরিত্রটি করার জন্য আড়াই মাসে পঁচিশ কেজি ওজন কমিয়েছি। একবেলা সলিড ফুড খেয়েছি, আর একবেলা খিদে পেলে তরমুজ বা অন্য ফল খেয়ে পেট ভরিয়েছি। আসলে আমার শরীরে মাসল বেশি থাকায় এটা একটু কষ্টকর হয়েছে। তবে এখন আমি এই শ্যুট চলাকালীন নিরামিষ আহার করছি।”

নিরামিষ কেন খাচ্ছেন? প্রশ্ন করায় দিব্যজ্যোতি বললেন, “কোন কারণ নেই, তবে আমিষ খেতে ইচ্ছে করছে না। পরে কী হবে, পরের বিষয়। তবে এখন নিরামিষ খাচ্ছি।”


প্রথমবার যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে কাজ করছেন, কেমন অভিজ্ঞতা? এর উত্তরে দিব্যজ্যোতি বললেন, “আমি আপ্লুত, যিশুদাকে আমি আগে চিনতাম, কথাও হইতেছে, তবে এই প্রথম অভিনয় করেছি, একজন পজিটিভ মানুষ তিনি। জুনিয়র হিসেবে ওঁর মতো সিনিয়র অভিনেতাকে পাশে পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। আমাকে এতো সহজ করে নিয়েছেন অভিনয়ে, আশা করি ভাললাগবে। নিজের বহু অভিজ্ঞতার কথা আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি যখন ছোট পর্দায় গৌরাঙ্গের চরিত্রে অভিনয় করতেন, সেই সময়ের বহু গল্প বলেছেন। আমি খুব খুশি ওঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে।”

প্রসঙ্গত, এই ছবির গৌরাঙ্গ ও নিত্যানন্দের বেশে একটি ছবিতে যিশু সেনগুপ্ত ও দিব্যজ্যোতি দত্তকে দেখা যাচ্ছে। সেই ছবি এই মুহূর্তে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় নিজেই এই ছবি তাঁর স্যোশাল মিডিয়ার পাতায় প্রকাশ করেছেন। বলা বাহুল্য, এই ছবিটি শ্যুট-এর আগে থেকেই হাইপ তৈরি করছে। বাংলা সিনেমার দর্শক এখন ছবি মুক্তির অপেক্ষায়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours