বুধবার ভারতের প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ক্ষেপেছে পাকিস্তান। রাতের অন্ধকারে ভারতকে 'শেষ' করতেও এসেছিল তারা। কিন্তু পাল্টা মার খেয়েই বাড়ি চলে যেতে হয় তাদের। তারপর আবার ভারতের আঘাত।


বন্ধু-প্রীতি শেষ! ভারত-পাক উত্তেজনার মাঝে 'অন্য পথে' হাঁটল শিয়ের দেশ
প্র্রতীকী ছবি


ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে চিন্তায় চিন। পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধু-প্রীতি ঘুঁচিয়ে দুই দেশের মধ্যে শান্তির আবহাওয়া তৈরির পথ খুঁজছে তারা। এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রী লিং জিয়াং বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে চলা উত্তেজনা চিন্তায় রয়েছে বেজিং। যতই হোক, তারা আমাদের প্র্রতিবেশী।’ ফের কি তবে ঘুরপথে পাকিস্তানকে ‘বাঁচাতে’ চাইছে লাল ফৌজের সরকার?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তা ঠিক নয়। বরং পাকিস্তানের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই এসব কথা বলছে বেজিং। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রীর সংযোজন, ‘চিন কখনওই সন্ত্রাসবাদের মতো ঘটনাকে উস্কানি দিতে পছন্দ করে না। তবু আমাদের আর্জি যেন দুই দেশ নিজেদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখে এবং রাষ্ট্রপুঞ্জ প্রদত্ত সকল আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে চলে।’ এমনকি, দুই দেশের এই সংঘাতপূর্ণ আবহকে শান্ত করতে বেজিং প্রয়োজনে পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও, দাবি করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, বুধবার ভারতের প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ক্ষেপেছে পাকিস্তান। রাতের অন্ধকারে ভারতকে ‘শেষ’ করতেও এসেছিল তারা। কিন্তু পাল্টা মার খেয়েই বাড়ি চলে যেতে হয় তাদের। তারপর আবার ভারতের আঘাত। পাকিস্তান ভারতের ১৫টি সেনা পরিকাঠামোয় হামলা চালানোর চেষ্টা করলে, বৃহস্পতিবার, পাল্টা তাদের ইসলামাবাদ ও লাহোরে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। অসমর্থিত সূত্রের খবর, হামলা চালানো হয়েছে করাচি বিমানবন্দরেও। তবে সেই প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যে কোনও যুদ্ধে নামেনি, সেই বিষয়টাও বিশ্বের আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির কাছে সাফ করেছে নয়াদিল্লি। সাউথ ব্লকের স্পষ্ট বার্তা, পাকিস্তান বারংবার প্রথমে হামলা চালিয়েছে। ভারত সেই হামলার ভিত্তিতে নিজেদের প্রতিরক্ষা করেছে। প্রত্যাঘাত চালিয়েছে। যার অধিকার ভারতের রয়েছে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours