রাজ্যের জেলায়-জেলায় বসবাসকারী পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে তাঁদের ফেরত পাঠানোর দাবিতে বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ প্রকাশ্যে বলেন, "এ রাজ্যের অনেকে বুঝতে পারছেন না, অনেকে ভাবছেন যে বাড়ি আপনি বানিয়েছেন সেই বাড়িতে আপনি থাকবেন।


সনাতনী ছাড়া কাউকে বাড়ি ভাড়া দেবেন না, কম খান তবুও...', বললেন সৌমিত্র
সৌমিত্র খাঁ, সাংসদ


সনাতনীদের ছাড়া কাউকে জমি বিক্রি করবেন না। সনাতনীদের ছাড়া কাউকে বাড়ি ভাড়া দেবেন না।’বাঁকুড়ার জেলা শাসকের দফতরে বিজেপির ডেপুটেশনে যোগ দিয়ে এই ভাষাতেই প্রকাশ্যে নিদান দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।


রাজ্যের জেলায়-জেলায় বসবাসকারী পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে তাঁদের ফেরত পাঠানোর দাবিতে বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ প্রকাশ্যে বলেন, “এ রাজ্যের অনেকে বুঝতে পারছেন না, অনেকে ভাবছেন যে বাড়ি আপনি বানিয়েছেন সেই বাড়িতে আপনি থাকবেন। কিন্তু না, আপনারা ছেলে মেয়েরা বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যাবে। আর আপনি মারা গেলে আপনার বাড়ির দখল নেবে রোহিঙ্গারা।” এরপরই বাঁকুড়ার মানুষকে সতর্ক করে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের জমি বিক্রি করবেন না। সনাতনী ছাড়া কাউকে জমি বিক্রি করবেন না। এবং সনাতনী ছাড়া বাড়ি ভাড়া দেবেন না। দরকার হলে কম খান, তবু তাদের জমি বিক্রি করবেন না বা বাড়ি ভাড়া দেবেন না।”

পরে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে সৌমিত্র খাঁ বলেন, “কলকাতার ৯০ শতাংশ বাড়ি এভাবেই দখল করে নিয়েছে। বাঁকুড়ায় যেন তেমনটা না হয় তার জন্যেই আমার অনুরোধ সনাতনী ও হিন্দুদের ছাড়া জমি বিক্রি বা বাড়ি ভাড়া দেবেন না।” গণতান্ত্রিক দেশের একজন সাংসদ এমনটা কী বলতে পারেন? এমন প্রশ্নে সাংসদের উত্তর, “সনাতনী নয় যাঁরা, তারা সনাতনীদের ঘর ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দিলে আমরা সনাতনীরাও একথা বলতে পারি। আমার অবস্থান সনাতনী ও হিন্দুদের পক্ষে।” বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন,”দিবালোকেই মানুষকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন সাংসদ। এই সব ওদের মুখেই মানায়। এগুলো বলা যায় না।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours