দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে পুরীর মন্দিরের সেবায়ত রাজেশ দৈতাপতিকে। তিনিই প্রথম বলেছিলেন ২০১৫ সালে পুরীর মন্দিরে নবকলেবরে ব্যবহৃত পবিত্র নিম কাঠের অবশিষ্ট অংশ দিয়েই বানানো হয়েছে দিঘায় জগন্নাথের বিগ্রহ। তারপরই যত বিতর্ক।


কান মোলা দেওয়া উচিত, কান ধরে ওঠবোস কর’, কেন এত রেগে গেলেন মমতা?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


উদ্বোধনের পর থেকেই বিতর্কের অন্ত নেই। অভিযোগ, পুরীতে যে নিমকাঠ দিয়ে জগন্নাথের মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল সেই নিম কাঠের অবশিষ্টাংশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দিঘার জগন্নাথের মূর্তি। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার এই ইস্যুতে মুর্শিদাবাদে প্রশাসনিক সভা থেকে গর্জে উঠলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, “কান মোলা দেওয়া উচিত। কান ধরে ওঠবস কর। আমি কেন তোদের কাঠ চুরি করতে যাব? আমার বাংলায় নিম গাছ কম আছে? আমার বাড়িতেও চারটে নিম গাছ আছে। আর জগন্নাথ ধামেও ৫০০ গাছ পোঁতা হয়েছে। আরও একশো নিম গাছ পোঁতা হয়েছে। কারও দয়া চাই না। কোনও গাছ তো কারও কেনা নয়।”

প্রসঙ্গত, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে পুরীর মন্দিরের সেবায়ত রাজেশ দৈতাপতিকে। তিনিই প্রথম বলেছিলেন ২০১৫ সালে পুরীর মন্দিরে নবকলেবরে ব্যবহৃত পবিত্র নিম কাঠের অবশিষ্ট অংশ দিয়েই বানানো হয়েছে দিঘায় জগন্নাথের বিগ্রহ। তাঁর এই দাবি ঘিরে এক্কেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশেই। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে ওড়িশা সরকারেরও। সদ্য মুখ খুলেছেন সে রাজ্যের আইনমন্ত্রী। যদিও তাঁর যুক্তি ভুলবশত ওই কথা বলেছিলেন দ্বৈতাপতি। তবে এখনও ফুঁসছেন মমতা। 

এদিন সুতির সভা থেকে কার্যত হুঙ্কারের সুরে বলেন, “আমরা তো ভিখিরি নয়, আমরা পকেটমার নই। যাঁরা বলেছিলেন তাঁরাই এখন বলছেন না না এখান থেকে নেয়নি। তাহলে আমার বদনাম করলেন কেন? এর জন্য কত ফাইন হওয়া উচিত? একটা ভাল করে মন্দির করলাম। সাড়া বিশ্বের একরকম আশ্চর্য। আর বলে দিচ্ছে আমি নাকি চুরি করেছি। প্রমাণ করুক। তা নাহলে আগামীদিন মানুষ হিসাব দিয়ে দিন।” 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours