পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা শরিফ দাবি করেন, রাফাল, মিগ সহ ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের এই দাবি নিয়ে খবর করে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমও। পরে জানা যায়, গোটা খবরটিই মিথ্যা।
ভারতের রাফাল ধ্বংস করার বড়াই পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর! প্রমাণ চাইতেই বললেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি'
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ।
যুদ্ধ লাগলে ভারতের সামনে চারদিনের বেশি টিকতে পারবে না পাকিস্তান। ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর আরও ভীত পাকিস্তান। এখন তাদের অস্ত্র মিথ্যাচার। সেই রোগ এতটাই ছড়িয়ে গিয়েছে যে পাকিস্তানের মন্ত্রীরাও ভুয়ো খবর রটাচ্ছেন। তথ্য যাচাই না করেই অলীক সব দাবি করছেন।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত হল ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে এসেছে ভারত। এরপরই পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ দাবি করেন, রাফাল, মিগ সহ ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের এই দাবি নিয়ে খবর করে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমও। পরে জানা যায়, গোটা খবরটিই মিথ্যা।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রাফাল ধ্বংস করার প্রমাণ কী? উত্তরে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর দেখেছেন।
সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার খবরের সত্যতা জানতে চাইলে, খোয়াজা শরিফ বলেন, “আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়াতেই দেখেছি। বিমানের ধ্বংসাবশেষ ওদের দিকে পড়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেই এই খবর দেখা যাচ্ছে।”
এরপরই হাসির রোল উঠেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে প্রশাসনিক পদে থাকা একজন ব্যক্তি কোনও খবরের সত্যতা যাচাই না করেই কী করে মন্তব্য করলেন।
ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালানোর পরই পাকিস্তানের তরফে ভুয়ো দাবি করা হয় যে পাক সেনা বাহওয়ালপুরে ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল জেট ও মিগ বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য যাচাই সংস্থা, পিআইবি-র তরফে ফ্যাক্ট চেক করে জানানো হয়েছে এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে রাফাল বিমান ধ্বংসের ভিডিয়ো প্রচার করা হয়েছে, তা ২০২১ সালে পঞ্জাবের মোগায় ভেঙে পড়া মিগ-২১ বিমানের ভিডিয়ো।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours