যে ৯টি ঘাঁটিতে আজ হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা, তার মধ্যে ৫টি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এর মধ্যে বাহওয়ালপুর হল পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের শক্তিশালী ঘাঁটি। অন্যদিকে, মুরিদকে হল লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর।
আজমল কাসব, ডেভিড হেডলিকে এখানেই হাতে গড়েছিল পাকিস্তান! লস্কর-জইশের কত ক্ষতি হল?
পাকিস্তানে ধ্বংস জঙ্গি ঘাঁটি।
মাত্র ২৫ মিনিট সময়। তাতেই সাফ পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ৯ জায়গায় জঙ্গিদের আস্তানা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই জঙ্গি ঘাঁটিগুলি কার ছিল জানেন? এই ঘাঁটিতেই ট্রেনিং নিয়েছিল ২৬/১১ জঙ্গি হামলায় যুক্ত আজমল কাসভ থেকে শুরু করে ওই হামলার চক্রী ডেভিড হেডলি। সেই ঘাঁটিকেই আজ ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে ভারত।
যে ৯টি ঘাঁটিতে আজ হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা, তার মধ্যে ৫টি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এর মধ্যে বাহওয়ালপুর হল পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের শক্তিশালী ঘাঁটি। অন্যদিকে, মুরিদকে হল লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর।
জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এই ঘাঁটিগুলিতেই ট্রেনিং হত জঙ্গিদের বড় বড় মাথার। জইশ ও লস্কর জঙ্গি নেতারাও এই ক্যাম্পগুলিতে এসে প্রশিক্ষণ দিত।
যে ৯টি জঙ্গি ক্যাম্প ধ্বংস করেছে ভারত, সেগুলি হল-
১. সাওয়াই নাল্লা ক্যাম্প, মুজাফ্ফরাবাদ- পাক অধিকৃত কাশ্মীর-ভারত সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ক্যাম্প। এটা লস্কর-ই-তৈবার ট্রেনিং সেন্টার ছিল। গত বছর সোনমার্গ, গুলমার্গের হামলা, এমনকী গত ২২ এপ্রিলে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় জড়িত জঙ্গিরাও এই ক্যাম্প থেকেই প্রশিক্ষণ পেয়েছিল।
২. সইদনা বিলাল ক্যাম্প, মুজাফ্ফরাবাদ- এটা জইশ-ই-মহম্মদের লঞ্চ প্যাড ছিল। এখানে জঙ্গিদের বন্দুক চালনা, বোমা ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। জঙ্গলে কীভাবে টিকে থাকবে, তাও শেখানো হত।
৩. গুলপুর ক্যাম্প, কোটলি- নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই ক্যাম্প লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি ছিল। জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি ও পুঞ্চে যে জঙ্গিরা সক্রিয় ছিল, তারা এই ঘাঁটি থেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পুঞ্চে পুণ্য়ার্থীদের উপরে হামলার পিছনে এই জঙ্গিদের হাত ছিল।
৪. বারনালা ক্যাম্প, ভিমবের- নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে এই ঘাঁটিতে আইইডি, অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের ট্রেনিং দেওয়া হত।
৫. আব্বাস ক্যাম্প, কোটলি- নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে এই ক্যাম্পে লস্কর ফিদায়েন জঙ্গিদের ট্রেনিং দেওয়া হত।
পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকেও হামলা চালিয়েছে ভারত।
৬. সরজল ক্যাম্প, শিয়ালকোট- পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে এই ক্যাম্পেও জঙ্গি প্রশিক্ষণ হত। গত মার্চ মাসে ৪ জন জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশকর্মীকে খুনের পিছনে যে জঙ্গিদের হাত ছিল, তারা এই ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছিল।
৭. মেহমুনা জোয়া ক্যাম্প, শিয়ালকোট- এটা হিজবুল মুজাহিদ্দিনের সবথেকে বড় ক্যাম্প। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জঙ্গি ঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছিল ২০১৬-র পাঠানকোট এয়ারবেস হামলায় জড়িত জঙ্গিরা।
৮. মারকাজ় তৈবা, মুরদিকে- এটা লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম বড় ঘাঁটি। ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত আজমল কাসভ ও ডেভিড হেডলি এই ক্যাম্পেই প্রশিক্ষণ পেয়েছিল।
৯. মারকাজ সুবানাল্লাহ, বাহওয়ালপুর- বাহওয়ালপুরের সম্পূর্ণ এলাকাতেই জইশ-ই-মহম্মদের নিয়ন্ত্রণ। মাসুদ আজহারের পরিবারের বসবাসও এখানেই ছিল। ভারতের হামলায় নিহত হয়েছে মাসুদের পরিবারের ১০ জন সদস্য।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours