প্রধান বিচারপতি তিন সদস্যের প্যানেলের ওই তদন্তের রিপোর্ট ইতিমধ্যি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও পাঠিয়েছেন। ওই রিপোর্টে বিচারপতি ভার্মার জবাব রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
ভারত-পাক চরম উত্তেজনার মাঝে ইস্তফাপত্র চাইল সুপ্রিম কোর্ট
বিগত ৭২ ঘন্টা ধরে চরম উত্তেজনার মধ্যে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশ। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নিরাপরাধ নিরস্ত্র পর্যটকদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। যার পরে পালটা আঘাত শুরু করেছে পাকিস্তানও। বলাই বাহুল্য এখনও অবধি ভারতের আক্রমণের পাকিস্তানের নাজেহাল দশা হলেও, ভারতকে বিচলিত করতে পারেনি পশ্চিমের প্রতিবেশী। আঘাত-প্রত্যাঘাতের মধ্যেই দেশের মধ্যেও ঘটে গেল আরও এক বড় ঘটনা। অগ্নিকাণ্ডের পরে দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা বাড়ি থেকে নগদ ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। তারপর থেকেই তাঁকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কী ভাবে এত টাকা এল, সেই নিয়েই শুরু হয়েছিল তদন্তও। দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন কিছু দিন আগে। সূত্রের খবর, ওই তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই এবার বিচারপতি ভার্মার কাছে ইস্তফাপত্র চাইলেন প্রধান বিচারপতি। যা বর্হিশত্রুর আক্রমণের আবহে দেশের মধ্যের পরিস্থিতিকেও আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।
প্রধান বিচারপতি তিন সদস্যের প্যানেলের তদন্তের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও পাঠিয়েছেন। ওই রিপোর্টে বিচারপতি ভার্মার দেওয়া জবাবও রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ইতিমধ্যেই বিচারপতি ভার্মাকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ইন-হাউস প্রসিডিওরের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়কেই চিঠি লিখেছেন। যার সঙ্গে ০৩.০৫.২০২৫ তারিখের ৩ সদস্যের কমিটির তদন্ত রিপোর্টের একটি অনুলিপি এবং বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার কাছ থেকে প্রাপ্ত ০৬.০৫.২০২৫ তারিখের জবাব চিঠি বা প্রতিক্রিয়াও যুক্ত করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারকের বাসভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর নগদ অর্থ উদ্ধারের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য প্রধান বিচারপতি ২২ মার্চ পঞ্জাব ও হরিয়ানার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জি এস সান্ধাওয়ালিয়া এবং কর্ণাটকের হাইকোর্টের বিচারপতি অনু শিবরমনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন।
বিচারপতি ভার্মা ৫ এপ্রিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর, প্রধান বিচারপতি খান্না ৪ মে বিচারপতি ভার্মাকে চিঠি লিখে রিপোর্টের একটি কপি শেয়ার করেন। জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি প্রতিবেদনের শুরুতে বিচারপতি ভার্মার পদত্যাগের বিকল্পটি উল্লেখ করেছেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours