তিস্তার দাবি, পাকিস্তান ধর্ম দেখে মেরেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ঠিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। একই মত অষ্টম স্থানে থাকা শ্রেষ্ঠা মুখোপাধ্যায়েরও। সকলেই পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেন। একইসঙ্গে ভারতীয় সেনার পাল্টা প্রত্যাঘাতের ভূয়সী প্রশংসাও করেন।


এটা দরকার ছিল’, পাকিস্তানকে দুরমুশ করতেই ভারতীয় সেনা প্রশংসার উচ্চমাধ্যমিকের কৃতীদের
কী বলছেন উচ্চমাধ্যমিকের কৃতীরা?



হুগলি-পূর্ব মেদিনীপুর-বর্ধমান: মাঝরাতেই পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে কড়া জবাব দিয়ে এসেছে ভারতীয় সেনা। সকালেই প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ৭২ জন কৃতী। ৪৯৭ নম্বর নিয়ে গোটা রাজ্যের মধ্যে বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের রূপায়ন পাল দখল করে নিয়েছে প্রথম স্থান। অভাবনীয় ফলে সবাই যখন তাঁকে বহবা দিতে ব্যস্ত তখন ভারতীয় সেনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল রূপায়নকে। স্পষ্ট বললেন, “পাকিস্তান পহেলগাঁওয়ে যে হামলা করেছে সেটা খুবই জঘন্য একটা ঘটনা। তার প্রতিবাদ যে ভারত করতে পেরেছে সেটা অবশ্যই প্রতিটা ভারতবর্ষের জন্য গর্বের বিষয়।” একইসুর অষ্টম স্থানে থাকা তিস্তা থেকে শ্রেষ্ঠা মুখোপাধ্যায়েরও। সকলেই পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেন। একইসঙ্গে ভারতীয় সেনার পাল্টা প্রত্যাঘাতের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। 


পূর্ব মেদিনীপুর রঘুনাথবাড়ি রামতারক হাইস্কুল থেকে অবাক করা রেজাল্ট করেছেন তিস্তা বেড়া। অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন গোটা রাজ্যের মধ্যে। পেয়েছেন ৪৯০ নম্বর। তিস্তার দাবি, পাকিস্তান ধর্ম দেখে মেরেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ঠিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। একই মত অষ্টম স্থানে থাকা শ্রেষ্ঠা মুখোপাধ্যায়েরও। শ্রেষ্ঠা হুগলির শ্রীরামকৃষ্ণ শিশু তীর্থ হাইস্কুলের ছাত্রী। পেয়েছেন ৪৯০ নম্বর। তিনিও ভারতীয় সেনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। 

শ্রেষ্ঠা বলছেন, “পহেলগাঁওয়ে যা হয়েছে এটা তার কাউন্টার অ্যাটাক। এই পদক্ষেপ না করলে সঠিক জবাব দেওয়া সম্ভব হত না। ভারতীয় সেনা আজ যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আমি গর্বিত। আমি নিজেও এমন কিছু নিয়ে পড়তে চাই যাতে দেশের ভাল হবে।” উচ্চ মাধ্যমিকের মেরিট লিস্টে দশম স্থানে রয়েছেন অদৃশা সামন্ত। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের পরে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। খুশি অদৃশার মা সুতপা দেবীও। তিনি বলছেন, ভারতের আক্রমণে আমি খুশি। এটা দরকার ছিল। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours