ইতিমধ্যেই বাংলায় এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁরাও এদিন বৈষ্ণবনগরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলতে যান। সেই সময়েও একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাজ্যপাল যাওয়ার পরেও একই পরিস্থিতি।
‘ভিতরের খবরকে চেপে রাখার চেষ্টা হচ্ছে’, রাজ্যপাল যেতেই বৈষ্ণবনগরে ঘরছাড়াদের ক্যাম্পে ধুন্ধুমার কাণ্ড
ব্যাপক উত্তেজনা বৈষ্ণবনগরে
মুর্শিদাবাদ একটু শান্ত হতে না হতেই নতুন করে তপ্ত মালদহ। স্থানীয়দের তুমুল বিক্ষোভে রণক্ষেত্র মালদহের বৈষ্ণবনগর। এদিন বৈষ্ণবনগরে ঘরছাড়াদের ক্যাম্পে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু, ওই সময় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অনেক স্থানীয় মানুষও ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু, সকলকেই আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তাতে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঘরছাড়ারারাও।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রামের এক যুবক বলেন, “পুলিশ বলছে কোনও মিডিয়া যাবে না। কিন্তু মিডিয়া না গেলে ভিতরে কী হচ্ছে জানা যাবে না। মিডিয়াকে ভিতরে যেতে দিতে হবে।” গর্জে উঠলেন আরও একজন। বললেন, “ভিতরের খবরকে চেপে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। সকাল থেকেই এটা চলছে। যাঁরা ভিতরে আছে তাঁদেরও ভয় দেখাচ্ছে।” উত্তেজনার মধ্যেই বেশ কিছু স্থানীয় যুবক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকারও চেষ্টা করে। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তিও হয়। মাঠে নামে র্যাফ। কাঁদানে গ্যাস নিয়েও তৈরি পুলিশ।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বাংলায় এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁরাও এদিন বৈষ্ণবনগরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলতে যান। সেই সময়েও একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, “মহিলারা বলছেন, আমরা শুধু সেন্ট্রাল ফোর্স চাই। আমরা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। মেয়েদের বলেছে, এই বাড়িতে থাকলে ধর্ষণ হয়ে যাবি। চলে যা। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা যা যা করার করব।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours