জয়নগর রেল স্টেশন বানাতেও ভারত সরকার আর্থিক সাহায্য করেছিল। পাশাপাশি লাইন পাতা এবং ট্রেনের খরচও দিয়েছে। কোঙ্কন রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড নেপাল রেলওয়ে প্রজেক্টের দেখভাল করে।
জয়নগর স্টেশন শুধু ভারত নয়, এর মালিক নেপালও! কেন বলুন তো?
ফাইল চিত্র।
বিশ্বের অন্যতম বড় রেল নেটওয়ার্ক ভারতীয় রেলওয়ে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, গোটা দেশকে জুড়েছে রেল। দেশজুড়ে মোট ৬৮ হাজার কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। ৮০০০-রও বেশি স্টেশন জুড়েছে রেলপথে। এর মধ্যে এমন বহু স্টেশনই রয়েছে, যার নানা বিশেষত্ব রয়েছে। বাকি স্টেশনের থেকে আলাদা সেগুলি, এর ইতিহাসও আলাদা। জানেন কি, দেশের অন্দরেই একটি স্টেশন রয়েছে, যা পড়শি দেশও ব্যবহার করে।
হ্যাঁ, একটাই স্টেশন, যা ভারত ও প্রতিবেশী দেশ নেপাল ব্যবহার করে। এই স্টেশনটি রয়েছে বিহারে। মধুবনী জেলায় জয়নগরে রয়েছে এই স্টেশন। আসলে ভারতের অংশেও একটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে এবং নেপালেও একটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। মাঝে একটি ওভারব্রিজ রয়েছে, যা দুই দেশের স্টেশনকে জুড়েছে। যাত্রীরা চাইলেই দুই দেশের স্টেশনে যেতে পারেন।
বিহারের মধুবনী জেলার জয়নগর স্টেশন হল দেশের শেষ রেলস্টেশন। নর্থ রেলওয়ে জোনের অধীনে এই স্টেশন দিয়ে যাত্রীবাহী ও মালগাড়ি যায়। দিল্লি, মুম্বই সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন এই স্টেশনে যায়। অন্যদিকে, নেপালের রেল স্টেশন রয়েছে, যেখান থেকে নেপালের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যায়। নেপালেও এই স্টেশনটি জয়নগর হিসাবেই পরিচিত।
তবে ভারত থেকে কেউ যদি নেপালের রেল স্টেশনে যান, তাকে বাধ্যতামূলকভাবে লাগেজ চেক করাতে হয়। সিকিউরিটি চেকের পরই কোনও যাত্রী নেপালের ট্রেনে উঠতে পারেন। ভারত ও নেপালকে জোড়ে ওই ওভারব্রিজটিই।
প্রসঙ্গত, নেপালের জয়নগর রেল স্টেশন বানাতেও ভারত সরকার আর্থিক সাহায্য করেছিল। পাশাপাশি লাইন পাতা এবং ট্রেনের খরচও দিয়েছে। কোঙ্কন রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড নেপাল রেলওয়ে প্রজেক্টের দেখভাল করে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours