এদিন মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। জাফরাবাদে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন বোস। নিহত বৃদ্ধের স্ত্রী রাজ্যপালের পা ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বেতবোনাও যান তিনি। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় আক্রান্তদের।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, আতঙ্ক কাটেনি', আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে বললেন বোস
মুর্শিদাবাদে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
নিহতের স্ত্রী তাঁর পা ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আবার আক্রান্তরা তাঁর কাছে ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছেন। শনিবার মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বললেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু, মানুষের আতঙ্ক কাটেনি।” একইসঙ্গে তিনি বললেন, বর্বরোচিত হামলা হয়েছে।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকটি মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় গোলমাল হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে। আগুন ধরানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। অশান্তির জেরে সামশেরগঞ্জ, সুতি এবং ধুলিয়ানের অনেক বাসিন্দা গঙ্গা পেরিয়ে মালদহে আশ্রয় নিয়েছেন। বৈষ্ণবনগরের আশ্রয় শিবিরে গিয়ে শুক্রবার তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল।
আর এদিন মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। জাফরাবাদে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন বোস। নিহত বৃদ্ধের স্ত্রী রাজ্যপালের পা ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বেতবোনাও যান তিনি। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় আক্রান্তদের।
আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি বলেন, “মানুষের জীবন রক্ষা করা সাংবিধানিক দায়িত্ব। রাজ্যপাল হিসেবে কর্তব্য পালন করব। আমি জনগণের জন্য, জনগণের সঙ্গে রয়েছি। রাজ্যপাল হিসেবে সেই শপথ নিয়েছি। আমি বাংলার মানুষের সঙ্গে রয়েছি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “জনগণের কী দরকার আর জনগণ কী চায়, এই দুটোর পার্থক্য বুঝতে পারছি।”
সাধারণ মানুষ তাঁর কাছে কী কী দাবি জানালেন। রাজ্যপাল বলেন, “সাধারণ মানুষ একাধিক দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের প্রথম দাবি, ন্যায় চাই। দ্বিতীয় দাবি, শান্তি চাই। তৃতীয় দাবি, স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প।”
এই হিংসার ঘটনায় কি কোনও জঙ্গি সংগঠন জড়িত বলে তিনি মনে করেন? প্রশ্ন শুনে রাজ্যপাল বললেন, “এটা তদন্তকারী দলের তদন্তের বিষয়। আমি তদন্তকারী অফিসার নই। ”
তিনি কী দেখলেন, তা নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবেন বলে জানালেন বোস। তাঁর বক্তব্য, “এটা আমার দায়িত্ব।” সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জানিয়ে দিলেন, “আমি আশাবাদী, অন্ধকার কেটে যাবে, আলো আসবেই।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours