বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি চলার সময় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের নির্দেশ, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ শেষ করতে হবে।


..প্রয়োজনে আর্থিক জরিমানা করা হবে', রাজ্য ও পর্ষদকে শুনানির সময় কড়া বার্তা প্রধান বিচারপতির
রাজ্য ও পর্ষদকে কড়া বার্তা কোর্টের


প্রায় ছাব্বিশ হাজারের চাকরি যাওয়ার পর গোটা রাজ্য় আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। অনশন-বিক্ষোভ চলছিল। চিন্তায় পড়েছিল রাজ্য়ও। এতজনের চাকরি বাতিল হলে কীভাবে চলবে পঠন-পাঠন? এই বিষয়টি উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে ফের মামলা করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য ও পর্ষদকে কড়া বার্তা কোর্টের।


বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি চলার সময় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের নির্দেশ, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ শেষ করতে হবে। ৩১ মে-র মধ্যে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিতে হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ শেষ করতে হবে। এরপরই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হয়, তাহলে রাজ্য সরকার-পর্ষদ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর্থিক জরিমানা করা হতে পারে।

আজ সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৯ মাস স্কুলে যাবেন অযোগ্য চিহ্নিত নয় এমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে শিক্ষাকর্মীদের জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যেহেতু গ্রুপ সি (C)- গ্রুপ- ডি (Group D) কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি বেশি হয়েছে সেই কারণে তাঁরা আপাতত যাবেন না স্কুলে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে শিক্ষাকর্মীদের।


বস্তুত, প্রায় ছাব্বিশ হাজারের চাকরি যেতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তাদের বক্তব্য, এতজনের চাকরি গেলে প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায়। মামলার শুনানির সময়, পর্ষদের বিরোধিতা করে বলা হয়, এখনও যোগ্য-অযোগ্যদের লিস্ট দিতে পারেনি এসএসসি। প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দিয়ে কাজ চালানো হোক। তবে এই যুক্তি খারিজ করে কোর্ট।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours