বস্তুত, নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। তার মধ্যে ধুলিয়ান ছিল অন্যতম। সেখানকার সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘর-দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

মোদীর বিরুদ্ধে 'যুদ্ধঘোষণা' করেছিলেন, সেই পুরপ্রধান ইনজামামকে দেখা গেল ধুলিয়ানের হামলার ঘটনায়
ইনজামাম উল ইসলাম, ধুলিয়ানের পুরপ্রধান


 ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘অ্যালানে জং-এ’ নামতে হবে।’ অর্থাৎ ‘যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে’, এমনই হুঙ্কার দিয়েছিলেন ধুলিয়ানের পুরসভা চেয়ারম্যান ইনজামাম উল ইসলাম। এবার তাঁকেই দেখা গেল ধুলিয়ানে ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আগেই দাবি করেছিলেন, পুরসভা চেয়ারম্যান হামলার ঘটনায় উপস্থিতি ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেল ইনজামাম উল ইসলামকে। ২০২৫-এর ১১ এপ্রিলের প্রকাশিত ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে ইনজামামকে।



 

বস্তুত, নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। তার মধ্যে ধুলিয়ান ছিল অন্যতম। সেখানকার সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘর-দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী তখনই অভিযোগ করেছিলেন, এই হিংসার ঘটনার পিছনে মদত রয়েছে পুরপ্রধান ইনজামাম উল ইসলামের।


কী দেখা যাচ্ছে ভিডিয়ো ফুটেজে?

সংশ্লিষ্ট ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একদল দুষ্কৃতী লাঠি হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাস্তায়। তারা ছুটে বেড়াচ্ছে। ইট ছুড়ছে। এলাকাবাসীর দাবি, পুরপ্রধানের কথামতোই একদল ছেলে সেইদিকে লাঠি হাতে তেড়ে যাচ্ছে।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “চেয়ারম্যান ছিল…ছিল… আমরা বলছি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তো মোবাইলে। ফোনে সেই ছবি তোলা আছে।” এলাকাবাসীর এও দাবি, সাহায্যের জন্য বহুবার কাকুতি-মিনতি করার পরও তা এড়িয়ে যান ইনজামাম। তাঁদের অভিযোগ, পুরপ্রধান প্রথমে সামশেরগঞ্জে গঙ্গার পাড়ে মঞ্চ করে বিতর্কিত বক্তব্য রাখেন। তারপর শনিবার (অশান্তির দিন) নিজে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। পুরপ্রধানের উস্কানি এবং ইন্ধন এই ঘটনায় ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। যদিও, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ধুলিয়ান পুরসভার পুরপ্রধান ইনজামাম বলেন, “আমি এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেব না। তবে এই ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছে আমি তদন্ত চাই। NIA তদন্ত হোক। অপরাধীরা গ্রেফতার হোক।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours