একাধিক সূত্রেই দাবি, অ্যান্টিলিয়ায় নাকি কোনও এসি ইউনিট নেই। কোনও আউটডোর ইউনিট দেখা যায় না। বাইরের অংশ পুরোটাই মার্বেল আর গ্লাস দিয়ে মোড়া। তাহলে অ্যান্টিলিয়ায় কীভাবে আরামে থাকেন অম্বানী পরিবার?
১৫ হাজার কোটির অ্যান্টিলিয়ায় নেই কোনও AC! গরমে কীভাবে থাকে অম্বানী পরিবার?
অ্যান্টিলিয়ায় কীভাবে থাকে অম্বানী পরিবার।
বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র মুম্বই। সেই শহরের বুক চিরেই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে ২৭ তলার বিশালাকার বাড়ি, অ্যান্টিলিয়া। দেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানীর বাড়ি এটা। ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচে তৈরি এই বাড়িতেই অম্বানী পরিবারের বাস। সুইমিং পুল থেকে সিনেমা হল, হেলিপ্যাড, কী নেই এই বাড়িতে। এত কিছু থাকলেও, তবে এই বাড়িতে নাকি এসি নেই! অ্যান্টিলিয়ার বাইরে কোনও এসি ইউনিট দেখা যায় না। সত্যিই কি তাই? মুম্বইয়ের গরমে কীভাবে থাকেন অম্বানী পরিবার?
একাধিক সূত্রেই দাবি, অ্যান্টিলিয়ায় নাকি কোনও এসি ইউনিট নেই। কোনও আউটডোর ইউনিট দেখা যায় না। বাইরের অংশ পুরোটাই মার্বেল আর গ্লাস দিয়ে মোড়া। তাহলে অ্যান্টিলিয়ায় কীভাবে আরামে থাকেন অম্বানী পরিবার? আসলে এসি না থাকার বিষয়টি আংশিক সত্য। সাধারণ মানুষ যে এসি দেখে অভ্যস্ত, চিরাচরিত সেই এসি নেই অ্যান্টিলিয়ায়।
জানা গিয়েছে, অ্যান্টিলিয়ায় সেন্ট্রাল কুলিং সিস্টেম রয়েছে। তবে এই সিস্টেমও মানুষের জন্য নয়, বরং মার্বেল, ফুল ও ইন্টেরিয়রের বাকি জিনিস যাতে সংরক্ষিত থাকে, তার জন্য। অম্বানী বাড়ির অতিথিরা চাইলেও, বাড়ির তাপমাত্রা কমাতে বা বাড়াতে পারেন না।
শ্রেয়া ধানওয়ানথারি নামক এক অভিনেত্রীও দাবি করেছিলেন, তিনি একটি ফ্যাশন শুটের জন্য অ্যান্টিলিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে তার ঠান্ডা লাগায়, অনুরোধ করেছিলেন তাপমাত্রা যাতে একটু বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাঁর সেই অনুরোধ রাখা হয়নি। বিল্ডিংয়ের ম্যানেজার এসে জানিয়েছিলেন, মার্বেলের আর্কিটেকচার সংরক্ষণের জন্য ওই নির্দিষ্ট তাপমাত্রাই রাখতে হবে, তাই তাপমাত্রা কমানো বা বাড়ানো সম্ভব নয়।
তাই বলে ভাবার দরকার নেই যে অম্বানী পরিবার গ্রীষ্মকালে গরমে হাসফাঁস করে। বরং মুম্বইতেও তারা বরফপাত সম্ভব করেছেন। অ্যান্টিলিয়ার ভিতরে রয়েছে একটি স্নো-রুম, যেখানে সত্যি সত্যি তুষারপাত হয়। দেওয়ালে লাগানো বিশেষ যন্ত্র থেকে বরফের কুচি স্প্রে করা হয় গোটা ঘরে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours