April 2025

ওয়েব সিরিজ ফ্যামিলি ম্যান হয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলে মনোজ। তবে বলিউডে জমি খুঁজে পাওয়া খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। কেরিয়ারের শুরুতে মনোজের লড়াই ছিল প্রচণ্ড কঠিন।

একসময় ছিল না মাথা গোঁজার ছাদ, সেই মনোজই এখন প্রতিমাসে কিনতে পারেন দু-দুটো বাড়ি! কীভাবে পাল্টাল জীবন?


মনোজ বাজপেয়ী। বলিউডের অত্য়ন্ত ট্য়ালেন্টেড একজন অভিনেতা। মূলধারার ছবির সঙ্গে সঙ্গে আর্ট হাইজ ছবিতেও নজর কেড়েছেন তিনি। এমনকী, ওয়েব সিরিজ ফ্যামিলি ম্যান হয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলে মনোজ। তবে বলিউডে জমি খুঁজে পাওয়া খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। কেরিয়ারের শুরুতে মনোজের লড়াই ছিল প্রচণ্ড কঠিন। এমনকী, মুম্বইয়ে পা দিলেও, মাথা গোজার জায়গা ছিল না তাঁর। এক বন্ধুর ছোট্ট ঘরে ঠাই পেয়েছিলেন মনোজ। তারপর দিন বদলায়। সেই মনোজের এখন সম্পত্তির পরিমাণ প্রচুর। শুধু তাই কী তাই! মনোজ এমন এক ব্যবসায়ীক ছক কষেছেন, যার ফলে তাঁর মাসিক আয় প্রচুর। যা দিয়ে প্রতিমাসে দেশের যেকোনও শহরে দু-দুটো বাড়ি কিনতে পারেন মনোজ।


ব্যাপারটা একটু বিশদে বলা যাক। ২০২৩ সালে সিনেমার পাশাপাশি রিয়েল এস্টেটে প্রচুর টাকা নিয়োগ করেছেন মনোজ। মুম্বইয়ের ওশিয়াড়াতে চারটি অফিস ফ্লোর কিনেছেন, যার মূল্য ৩২ কোটি টাকা। যা তিনি ভাড়া দিয়েছেন, প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকায়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মনোজ জানিয়েছেন, এই রিয়েল এস্টেট আমার জীবন বদলে দিয়েছে। একটা বড় অংশের সেভিংস হয় এখান থেকেই। যে মুম্বইয়ে আমার একটাও ঘর ছিল না। এখন আমি চাইলেই প্রতিমাসে ফ্ল্যাট কিনতে পারি।

 মমতার প্রতিশ্রুতিমতো সরকারিভাবে এলাকা পরিদর্শন করে একটি তালিকা পঞ্চায়েত দফতরে পাঠানো হচ্ছে। অর্থ দফতরের বরাদ্দের জন্যও সেই তালিকাও পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।

ঠিক কত বাড়ি ভেঙেছে মুর্শিদাবাদ, সামনে এল সংখ্যাটা
ফাইল ছবি


মুর্শিদাবাদের অশান্তির জেরে ঘরছাড়া হন বহু মানুষ। ঘর ছেড়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন মালদহের আশ্রয় শিবিরে। এবার সামনে এল সেই সব আক্রান্ত পরিবারের সংখ্যা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, যাঁদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে আবাস যোজনায়। তারই তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয় পঞ্চায়েত দফতরে। সেখান থেকে অর্থ দফতরেও অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ভাঙচুর হওয়া বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩০০-র উপর। ওয়াকফ আইন পাশ হওয়ার পর সেই আইনের বিরোধিতার নামে তাণ্ডব চলে মুর্শিদাবাদ জুড়ে। ধুলিয়ান, সামসেরগঞ্জে একাধিক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন লাগিয় পুড়িয়ে ফেলা হয়। বেতবোনা, জাফরাবাদের মতো গ্রামগুলিতে পরপর ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়ি।

মমতার প্রতিশ্রুতিমতো সরকারিভাবে এলাকা পরিদর্শন করে একটি তালিকা পঞ্চায়েত দফতরে পাঠানো হচ্ছে। অর্থ দফতরের বরাদ্দের জন্যও সেই তালিকাও পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।


প্রায় ৩০০-র বেশি উপর এই বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা খুব শীঘ্রই এই পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। মুর্শিদাবাদের বাইরে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মে মাসের মধ্যেই দিয়ে দেওয়া হবে।




রাত তিনটে নাগাদ দুই যুবক রাতের অন্ধকারে জানলা দিয়ে ঘরে ঢোকে। এই ঘটনার সময় ওই মহিলা চিৎকার চেঁচামেচি করলে বহু লোক জমে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা একজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে।


 জানালা দিয়ে ঢুকে ব্লেড দিয়ে কাপড় কেটে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ
ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ


আলিপুরদুয়ার: রাতের অন্ধকারে জানলা দিয়ে ঘরে ঢুকে এক মহিলার কাপড় ব্লেড দিয়ে ছিঁড়ে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই মহিলা ওই দুষ্কৃতীকে কামড়ে দিয়ে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।


পুলিশ ও স্থানীয় জানা গিয়েছে, রাত তিনটে নাগাদ দুই যুবক রাতের অন্ধকারে জানলা দিয়ে ঘরে ঢোকে। এই ঘটনার সময় ওই মহিলা চিৎকার চেঁচামেচি করলে বহু লোক জমে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা একজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। যার শরীরে কোন পোশাক ছিল না সে পালিয়ে যায়। এরপর শুরু হয় ধৃত যুবক উত্তমমধ্যম। এমনকি স্থানীয় মহিলারা ওই যুবকের গলায় জুতোর মালা পরিয়ে দেন।

পুলিশে খবর দিলেও ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃত যুবক স্থানীয় বাসিন্দাদের জানিয়েছেন, সে গুয়াহাটিতে থাকে। কখনও বলেছে নিউ আলিপুরদুয়ার থাকে। তার কথার মধ্যে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত তিনটেয় ঘটনা ঘটলেও, পুলিশ ৫ ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার পর পালিয়ে যায় একজন। ধৃতের চরম শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয় মহিলারা।

সামনেই ভুট্টা ও ধান রোপনের সময়। সিন্ধ ও পঞ্জাব প্রদেশে ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ টিকে থাকে এই সিন্ধু জলবন্টন চুক্তির উপর। জল এলে চাষ হবে, না এলে শিকেয় উঠল কাজবাজ।

 ক্ষতি হবে ১৩ হাজার কোটির! এবার 'সন্ত্রাসে মদত জোগানোর' ঠেলা বুঝবে পাকিস্তান, মোক্ষম জবাব ভারতের
প্রতীকী ছবি

বন্ধ জল, পাকিস্তানকে এবার ভুগতে হবে ফল। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার পরিণাম যে কী, তা এবার তারা টের পাবে হাড়ে-মজ্জায়। মঙ্গলবারের ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমান্তে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে ‘কূটনৈতিক যুদ্ধ’ শুরু করেছে ভারত।

বুধবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলা দশক পুরনো সিন্ধু জলবন্টন চুক্তিতে স্থগিতের ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। আর তারপরেই পাকিস্তানে থরহরিকম্প। জলবন্টন চুক্তি বন্ধ হতেই পেটে ভাত জোটাতে নাজেহাল অবস্থা হতে চলেছে পাকিস্তানের।

কী এই সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি?

তখন সবে স্বাধীন হয়েছে দেশ। মাঝ বরাবর চিরে তৈরি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। সব এলাকায় বসেছে কাঁটাতার। কিন্তু নদী? সে কাঁটাতার দেখে না। সেই সময়কালে কার দিকে কতটা সিন্ধুর জল যাবে, কেই বা কতটা ধরে রাখবে। সেই সব তথ্য ও জল দুটোই সরবরাহ করার জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় ভারতের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করে পাকিস্তান। সেই চুক্তি সাক্ষর বৈঠকে ওই সময় যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আয়ুব খান।

যার আওতায় মূলত চিন হয়ে আসা সিন্ধু নদের জল নিজেদের মধ্য়ে ভাগাভাগি করে নেয় ভারত-পাকিস্তান। এবার তাতেই পড়েছে বাঁধ। যার জেরে ‘হাঁটু কাঁপছে’পাক প্রশাসনের। নানা যুক্তি তুলে ভারতের সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করার ঘটনার বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে তারা। ভয় দেখাচ্ছে চিনকে দিয়েও।

কিন্তু একটা চুক্তিতে কতটা প্রভাব পড়বে সেখানে? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই চুক্তি স্থগিতে ফলে পাকিস্তানে বাড়বে জলকষ্ট। বর্তমানে বিশ্বের জলকষ্টে ভোগা দেশগুলির মধ্য়ে পাকিস্তান রয়েছে ১৪ নম্বরে। গ্রীষ্মকালে এই কষ্ট ওঠে চরমে। আর সেই সময়েই চুক্তি স্থগিত করল ভারত। তবে জলকষ্টের চেয়েও বেশি পাকিস্তান চাপে পড়তে চলেছে কৃষিকাজের দিক থেকেও।

সামনেই ভুট্টা ও ধান রোপনের সময়। সিন্ধ ও পঞ্জাব প্রদেশে ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ টিকে থাকে এই সিন্ধু জলবন্টন চুক্তির উপর। জল এলে চাষ হবে, না এলে শিকেয় উঠল কাজবাজ। এবার সকৌশলে সন্ত্রাসের ফল ভোগাতে সেই ব্রহ্মাস্ত্রকেই ব্যবহার করছে ভারত। নয়াদিল্লির ঘোষণায় যদি বিতস্তার কিষাণগঙ্গা ড্য়ামের গেট বন্ধ হলে চাল ও গম উৎপাদন মার খাবে। যার জেরে ক্ষতি হয়ে যাবে পাকিস্তানের ৬ হাজার কোটি টাকার ফসল।

অন্যদিকে, আবার রয়েছে চন্দ্রভাগার ড্যাম। সেটা বন্ধ করে দিলে চাপে পড়বে পাকিস্তানের তুলো চাষ। যার জেরে ক্ষতি হবে ৭ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জলের প্রবাহ কমালে যেমন চাপ পড়বে কৃষিকাজের উপর। তেমনই আবার চাপ বাড়বে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে। অন্ধকারে ঢাকবে ইসলামাবাদ। এই জলবিদ্যুতের উপরেই আবার পক্ষান্তরে নির্ভর করে রয়েছে পাকিস্তানের শিল্পাঞ্চলগুলি। একদিকে কৃষিকাজে বাধা, অন্যদিকে অন্ধকারে ঢাকা কারখানা। ফলত, একটা চুক্তিতেই যে পাকিস্তানের টুঁটি চেপে ধরবে ভারত, সেই বিষয়টা আপাতত স্পষ্ট।

 গত সোমবার পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। ২৬ জন প্রাণ হারান। এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে বিশ্বের নানা দেশ। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতকে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। ষড়যন্ত্রীদের ছাড়া হবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


এবার জম্মু-কাশ্মীরে সেনা নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইট হ্যাক করল পাকিস্তানের হ্যাকাররা
সেনা নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইট হ্যাক


পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার কয়েকদিনের মধ্যে এবার জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইট হ্যাক করল পাকিস্তানের হ্যাকাররা। ‘টিম ইনসেন পিকে’ নামে ওই হ্যাকার গ্রুপ সেনা নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইটটি হ্যাক করেছে। হ্যাক করার পর ঘৃণামূলক বক্তব্য লেখা হয়েছে ওই ওয়েবসাইটে।

গত সোমবার পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। ২৬ জন প্রাণ হারান। এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে বিশ্বের নানা দেশ। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতকে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। ষড়যন্ত্রীদের ছাড়া হবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ভারতে যে সমস্ত পাক নাগরিক ভিসা নিয়ে রয়েছেন, তাঁদেরও ফেরত যেতে বলা হয়েছে।

এই খবরটিও পড়ুন
Physically Assault: ‘জল-মিষ্টি খেতেই জ্ঞান হারাই’, মহিলাকে বাসস্ট্যান্ড থেকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ; অভিযুক্ত বলছে, ‘উপকার করেছি’
Physically Assault: ‘জল-মিষ্টি খেতেই জ্ঞান হারাই’, মহিলাকে বাসস্ট্যান্ড থেকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ; অভিযুক্ত বলছে, ‘উপকার করেছি’
TMC: ‘তৃণমূল কারও বাবার জমিদারি নয়, যারা কিছু পায়নি, তারাই দলের কথা ভাবছে’, বিস্ফোরক শাসক বিধায়ক
TMC: ‘তৃণমূল কারও বাবার জমিদারি নয়, যারা কিছু পায়নি, তারাই দলের কথা ভাবছে’, বিস্ফোরক শাসক বিধায়ক
Malda: ২ লক্ষ টাকা ‘মাথার দাম’, শেষমেশ ‘তৃণমূল কর্মী’-কে বিহার থেকে তুলে নিয়ে এল বাংলার পুলিশ
Malda: ২ লক্ষ টাকা ‘মাথার দাম’, শেষমেশ ‘তৃণমূল কর্মী’-কে বিহার থেকে তুলে নিয়ে এল বাংলার পুলিশ
Sacked teachers: বড় খবর, এসএসসি ভবনের সামনে থেকে উঠল অবস্থান, একদল ফিরছেন স্কুলে
Sacked teachers: বড় খবর, এসএসসি ভবনের সামনে থেকে উঠল অবস্থান, একদল ফিরছেন স্কুলে
এই পরিস্থিতিতে সেনা নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়। সেখানে ঘৃণামূলক বক্তব্য লেখা হয়েছে হ্যাকারদের তরফে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু, ওই প্রতিষ্ঠান স্বশাসিত। তাই তাদেরই ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিমকে বিষয়টি জানাতে হবে। কম্পিউটারের নিরাপত্তার দিকটি ওই টিম-ই দেখে।

প্রসঙ্গত, ভারতে এর আগেও সাইবার হানায় টিম ইনসেন পিকে-র নাম উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন কোম্পানি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট সাইবার হানার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে ভারতে জি-২০ সম্মেলনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইটকে টার্গেট করেছিল তারা।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীতে ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন বিরাট কোহলি। ৪২ বলে এই রান করার পথে কোহলির ব্যাটে এসেছে ৮টি চার ও ২টি ছয়।




আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক বা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ জোফ্রা আর্চারের (Jofra Archer) কেরিয়ারে একটা আক্ষেপ ছিল। টি-টোয়েন্টিতে (T20) তিনি কখনও বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) আউট করতে পারেননি। অবশেষে সেই আক্ষেপ পূরণ হল। তাও আবার কিনা কিং কোহলির হোম গ্রাউন্ডে।


বৃহস্পতিবার রাতে আইপিএলের ম্যাচে চিন্নাস্বামীতে ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন বিরাট কোহলি। ৪২ বলে এই রান করার পথে কোহলির ব্যাটে এসেছে ৮টি চার ও ২টি ছয়। রাজস্থান রয়্যালসের তারকা জোফ্রা আর্চারের বোলিংয়ে ইনসাইড আউট শট খেলতে চেয়েছিলেন বিরাট। নীতীশ রানার ক্যাচে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন।

১১ ইনিংসে জোফ্রার ৮০টি ডেলিভারি ফেস করেছিলেন বিরাট। রান করেছেন ১০৩। ইংল্যান্ডের তারকা বোলারের বিরুদ্ধে ২২ গজে এক ডজন বাউন্ডারি ও তিনটি ছয়ও মেরেছেন কোহলি। এই প্রথম বার টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে প্রথম বার কিং কোহলির উইকেট জোফ্রা আর্চারের ঝুলিতে।


বিরাট কোহলিকে আরসিবি জার্সিতে এ বারের আইপিএলে বেশ কয়েক ম্যাচে উজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। সকলের পছন্দের কোহলি চলতি আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপের তালিকায় দুইয়ে উঠে এসেছেন। বিরাট এখনও অবধি ৯ ম্যাচে ৬৫.৩৩ গড়ে, ১৪৪.১১ স্ট্রাইক রেটে ৩৯২ রান করেছেন। তাঁর সর্বাধিক স্কোর এ মরসুমে ৭৩*।

বিরাট কোহলি রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীবারের আইপিএল ম্যাচে ৭০ রানের ইনিংসের সুবাদে ভেঙেছেন ক্রিস গেইলের এক রেকর্ড। একটি ভেনুতে সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরির মালিক এ বার কোহলি। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এই নিয়ে কেরিয়ারের ২৬তম হাফসেঞ্চুরি বিরাটের।

অবশেষে আরসিবি শিবিরে খুশির হাওয়া। ১৮তম আইপিএলে টানা ৩টে ম্যাচ হারার পর জয়ের মুখ দেখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।



১৮তম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে হারের খরা কাটল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। প্রথমে ব্য়াট করে রাজস্থানকে ২০৬ রানের বিশাল টার্গেট দেয় আরসিবি। নেপথ্যে বিরাট কোহলির ৭০, দেবদত্ত পাড়িক্কালের হাফসেঞ্চুরি। তবে আরসিবির দেওয়া এই স্কোরও (২০৬ রান) সুরক্ষিত ছিল না। শেষ দু’ওভারে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। সেখান থেকে আরসিবিকে অক্সিজেন দেন জশ হ্যাজলউড। আর ম্যাচ শেষ হতেই কোহলি তাঁকে দেন বিরাট পুরস্কার।


চিন্নস্বামীতে বৃহস্পতিবার রাতে আইপিএলের ম্যাচে শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য মাত্র ১৮ রান প্রয়োজন ছিল রাজস্থানের। তখনও পাঁচ উইকেট হাতে। ক্রিজে ছিলেন সেট ব্যাটার ধ্রুব জুরেল। ১৯তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে জুরেল ও ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গার উইকেট তুলে নেন জশ হ্যাজলউড। ম্যাচে তফাৎ তৈরি হয়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পিঙ্ক আর্মির টার্গেট দাঁড়ায় ১৭ রান।


রাজস্থানের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে বল করেন যশ দয়াল। দেন পাঁচ রান, নেন উইকেটও। শেষ অবধি ১১ রানে আরসিবির জয়। ঘরের মাঠে মরসুমের প্রথম জয়ের পর সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন আরসিবির ক্রিকেটাররা। উচ্ছ্বসিত দেখায় বিরাট কোহলিকেও। এরপর তিনি কোলে তুলে নেন জশ হ্যাজলউডকে। তাঁর ওভারই যে জয় কার্যত নিশ্চিত করে দিয়েছিল, বলার অপেক্ষা রাখে না। তারই পুরস্কার পেলেন জশ!

আইপিএলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এবং ইন্সটাগ্রামে সেই ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। নিম্নে দেখে নিন সেই ভিডিয়ো

আইপিএলের ২টো মরসুমে এর আগে ডিওয়াল্ড ব্রেভিস মুম্বই ভিশনস শিবিরে কাতিরি করছিলেন। পার্টি মোট ১০ ম্যাচ সংখ্যা ২৩০ রানা। এ বার ধোনির টিমের হয়ে তিনি খেলার সুযোগ পান।



অরেঞ্জ আর্মির বিরুদ্ধে সিএসকে জার্সিতে ডেবিউ বেবি এবির? কোচের ইঙ্গিত...
অরেঞ্জ আর্মির বিরুদ্ধে সিএসকে জার্সিতে ডেবিউ বেবি এবির? কোচের ইঙ্গিত...


এ বারের আইপিএলের (IPL) আগে যে মেগা নিলাম হয়েছিল, তাতে টিম পাননি দক্ষিণ আফ্রিকার রাইজিং স্টার ডিওয়াল্ড ব্রেভিস (Dewald Brevis)। বেশ কয়েকদিন আগে তিনি পেয়েছেন ১৮তম আইপিএলের টিকিট। চেন্নাইয়ের গুরজপনীত সিংয়ের পরিবর্ত হিসেবে ব্রেভিসকে টিমে নিয়েছে সিএসকে। ব্রেভিসের নাম ক্রিকেট দুনিয়ায় অপরিচিত নয়। তিনি বেবি এবি নামে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। প্রোটিয়া ক্রিকেটার দলের সঙ্গে কয়েকদিন ধরে অনুশীলন করছেন। এ বার কি তাঁর চেন্নাই জার্সিতে অভিষেকের পালা?

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে চেন্নাই সুপার কিংসের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং জানান, সব ঠিক থাকলে হলুদ জার্সিতে ব্রেভিসের অভিষেক হতেই পারে। এর আগে আইপিএলের ২টো মরসুম ব্রেভিস মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে কাটিয়েছিলেন। তাতে মোট ১০ ম্যাচ খেলে ২৩০ রান করেছিলেন। এ বার দেখার ধোনির টিমের হয়ে তিনি খেলার সুযোগ পান কিনা।

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের একাদশে যে বদল আসতে পারে, তা শোনা গিয়েছে ফ্লেমিংয়ের মুখে। তাঁর মতে, দলে বেশ কিছু ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁরা টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দলের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে থেকে কাউকে এই ম্যাচের জন্য বেছে নেওয়া হতে পারে। ফ্লেমিং বলেন, ‘আমরা কয়েকজন প্লেয়ারের কথা ভাবছি। তার মধ্যে ও (ডিওয়াল্ড ব্রেভিস) অন্যতম। আমাদের বেশ কয়েকজন প্লেয়ার টুর্নামেন্টের শুরু থেকে একসঙ্গে রয়েছে। ব্রেভিসকে দলে নিয়ে ভালো হয়েছে। কিন্তু আমাদের এমন একটা দল বেছে নিতে হবে, যেটা সেরা হবে। ব্রেভিস কী প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা দেখতে হবে।’



কেকেআরের বিরুদ্ধে ইডেনে নামার আগে জমিয়ে অনুশীলন করেছেন শ্রেয়স আইয়ার। কয়েকদিন আগেই দুই দল মুল্লানপুরে মুখোমুখি হয়েছিল। তাতে ২ পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয় পঞ্জাব কিংস। শনিবার ফের দুই দলের লড়াই।

আগুনে মেজাজে ইডেনে প্রত্যাবর্তন! নাইটদের মুখের খাবার ছিনিয়ে নিতে হাজির শ্রেয়স
আগুনে মেজাজে ইডেনে প্রত্যাবর্তন! নাইটদের মুখের খাবার ছিনিয়ে নিতে হাজির শ্রেয়স

ইডেন গার্ডেন্সে আগুন জ্বালাতে তৈরি চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেন। হ্যাঁ ঠিকই পড়লেন, তবে এ আগুন আসল আগুন নন। এ আগুনের বিচ্ছুরণ হবে পারফরম্যান্সে। কারণ আগুনে মেজাজে ক্রিকেটের নন্দনকাননে প্রত্যাবর্তন শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer)। ঠিক ১২টা মাস পিছনে ফিরে গেলে দেখা যাবে বেগুনি-সোনালি জার্সিতে কেকেআরকে (KKR) নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রেয়স আইয়ার। সময় বদলেছে, শ্রেয়সের আইপিএল (IPL) টিমও বদলেছে। পঞ্জাব কিংসের হয়ে এ মরসুমে দেখা যাচ্ছা শ্রেয়সকে। শনিবার নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন শ্রেয়স। তার আগে ইডেনে ফিরে কেমন লাগছে পঞ্জাব অধিনায়কের?


কেকেআরের বিরুদ্ধে ইডেনে নামার আগে জমিয়ে অনুশীলন করেছেন শ্রেয়স আইয়ার। নাইটদের মুখের খাবার ছিনিয়ে নিতে হাজির হয়েছেন তিনি। পঞ্জাব কিংসের এক্স হ্যান্ডেলে শ্রেয়সের এক ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে নেটে ব্যাটিং অনুশীলনে মগ্ন শ্রেয়স। ক্যাপশনে পঞ্জাবের পক্ষ থেকে একটি আগুনের ইমোজি শেয়ার করা হয়েছে।

জিন্নাহর বাবা ছিলেন জিন্নাহভাই পুঞ্জা। তিনি গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন, পরবর্তী সময়ে তিনি করাচিতে চলে যান। জিন্নাহর ঠাকুর্দা, পুঞ্জা গোকুলদাস মেঘজি রাজকোটের পানেলি মোটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

 জঙ্গিরা কি জানে পাকিস্তানের 'বাবা' হিন্দু ছিলেন? জানুন জিন্নাহর আসল ধর্ম
মহম্মদ আলি জিন্নাহ।


 পাকিস্তানের আসল রূপ বেরিয়ে এসেছে। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের মদত স্পষ্ট। বেছে বেছে হিন্দু নিধন করা হয়েছে সেখানে। জঙ্গিরা গুলি চালানোর আগে পর্যটকদের কাছ থেকে জানতে চায় তাদের ধর্মীয় পরিচয়। হিন্দু জেনেই তাদের হত্যা করা হয়। হিন্দুদের উপরে এত রাগ, বিদ্বেষ, অথচ এই পাকিস্তানিরা যে মহম্মদ আলি জিন্নাহকে ‘দেশের জনক’ বলা হয়, তাঁর পরিবারই হিন্দু ছিলেন।

পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন মহম্মদ আলি জিন্নাহ। দেশভাগের পিছনেও তিনিই ছিলেন। জিন্নাহ ১৮৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে জানেন কি, জিন্নাহ পরিবার কিন্তু হিন্দু ছিলেন। লোহানা সম্প্রদায়ের ছিলেন তাঁরা, যা হিন্দু ধর্মেরই একটি সম্প্রদায়।

জিন্নাহর বাবা ছিলেন জিন্নাহভাই পুঞ্জা। তিনি গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন, পরবর্তী সময়ে তিনি করাচিতে চলে যান। জিন্নাহর ঠাকুর্দা, পুঞ্জা গোকুলদাস মেঘজি রাজকোটের পানেলি মোটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। জানা গিয়েছে, পুঞ্জা ভাই মাছ বিক্রি করতেন। তাদের এই ব্যবসা নিয়ে আপত্তি ছিল লোহানা সম্প্রদায়ের। পুঞ্জা ভাইকে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে, এই নিয়ে বিক্ষোভও দেখানো হয়।

কার্যত সামাজিক বয়কটের মুখে পড়তে হয়েছিল জিন্নাহর পূর্বপুরুষদের। এরপরই তারা ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তবে ইতিহাসের অনেক বইতেই উল্লেখ রয়েছে যে মুসলিম হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপ ছিল জিন্নাহর পূর্বপুরুষদের। তারা ফের হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই অনুমতি মেলেনি।

এরপর ব্যবসা করতেই মহম্মদ আলি জিন্নাহর বাবা জিন্নাহভাই করাচিতে যান এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। নামের আগে জোড়েন মহাম্মদ।

আবার আরেকটি সূত্রের দাবি, জিন্নাহর পূর্বপুরুষ রাজপুত ছিলেন। এক পাকিস্তানি লেখকের ‘মিস্টার জিন্নাহ’ বইতে লেখা ছিল, জিন্নাহর পূর্বপুরুষরা পঞ্জাবের সাহিওয়ালের রাজপুত ছিলেন। ইসমাইলি খোজাকে বিয়ে করে কাঠিয়াওয়ারে থাকতেন। ইসমাইলি আগা খানের অনুসরণকারী ছিলেন, পরে সুন্নি মুসলিম হন তারা। মহম্মদ আলি জিন্নাহ নিজেও এই কথা স্বীকার করেছিলেন।

এদিন মূলত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বেই এই সর্বদল বৈঠক হয়। তবে ছিলেন অমিত শাহের মতো কেন্দ্রের একাধিক হেভিওয়েটও। অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যেমন ছিলেন রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো নেতারা, তেমন তৃণমূলের তরফে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা।


এবার কোথায় পালাবে পাকিস্তান? ‘যা অ্যাকশন নেওয়ার নিন…’, সর্বদলীয় বৈঠকে স্পষ্ট কথা বিরোধীদের
পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ভারত


ফুঁসছে দেশ। বদলা চাই, লোকমুখে ফিরছে একটাই শব্দ! কিন্তু, কোন পথে হবে সেই বদলা। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে নয়া দিল্লি। আপাতত বন্ধ ওয়াঘা বর্ডার। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তিও আপাতত রদ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানিদের সমস্ত ভিসা দেওয়াও সাময়িকভাবে বন্ধ থাকছে। পাশাপাশি ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের দ্রুত ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। এমতাবস্থায় এদিন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে কেন্দ্রীয় সরকার। বৈঠক শেষে কেন্দ্রের পাশে থাকার আশ্বাস বিরোধীদের। 

এদিন মূলত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বেই এই সর্বদল বৈঠক হয়। তবে ছিলেন অমিত শাহের মতো কেন্দ্রের একাধিক হেভিওয়েটও। অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যেমন ছিলেন রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো নেতারা, তেমন তৃণমূলের তরফে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। সূত্রের খবর, নানা বিষয়ে নানা পয়েন্টে মত পার্থক্য হলেও সকলেরই একটাই কথা, যে কোনও কড়া পদক্ষে তাঁরা সরকারের সঙ্গে রয়েছেন। 

সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী তো স্পষ্টই বলছেন, যা অ্যাকশন নেওয়ার সরকার নিক, তাঁরা পূর্ণ সমর্থন করছেন। একই সুর কংগ্রেস সভাপতির গলাতেও। মল্লিকার্জুল খাড়গে সওয়াল করেছেন কাশ্মীরে শান্তির পক্ষে। তার জন্য যা করার সরকার করুক। অন্যদিকে দেশের এই সঙ্কটকালে তৃণমূল কংগ্রেস যে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে আছে তা এদিনের বৈঠকে স্পষ্ট করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বৈঠকে কড়া পদক্ষেপের পক্ষে জোরাল সওয়াল করতে দেখা যায় আম আদমি পার্টিকেও। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলছেন, পুরো দেশ আজ ক্ষুব্ধ। দেশের চায় কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসীদের তাদের নিজস্ব ভাষায় উপযুক্ত জবাব দিক। সর্বদলীয় বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও জানান বৈঠক খুবই সদর্থক হয়েছে। বলেন, সামগ্রিকভাবে বৈঠক ভাল হয়েছে। সব দলই কেন্দ্রের পদক্ষেপে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে।

নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গত তিনদিন ধরে দুপুরে শিশুটিকে ডেকে বাড়িতে নিয়ে যায় গ্রামের ওই প্রৌঢ়। তার বাড়িতে সে ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। শিশুকন্যার মুখে গামছা চেপে ধরে যৌন নির্যাতন করা হয়। একইসঙ্গে নাবালিকাকে ভয়ও দেখায় অভিযুক্ত।


 ৭ বছরের নাবালিকাকে ৩ দিন ধরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, পড়শির কীর্তি দেখে ফেলল পাড়ার বাচ্চারা
প্রতীকী ছবি

 সাত বছরের শিশুকন্যাকে প্রলোভন দেখিয়ে তিনদিন ধরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। কাউকে জানালে মেরে ফেলার ভয় দেখানোয় শিশুটি পরিবারে কাউকে জানায়নি। পাড়ার অন্য বাচ্চাদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের লোকজন নাবালিকাকে জিজ্ঞাসা করলে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে মেডিক্যাল পরীক্ষা হয় নাবালিকার। তাকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ।


নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গত তিনদিন ধরে দুপুরে শিশুটিকে ডেকে বাড়িতে নিয়ে যায় গ্রামের ওই প্রৌঢ়। তার বাড়িতে সে ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। শিশুকন্যার মুখে গামছা চেপে ধরে যৌন নির্যাতন করা হয়। একইসঙ্গে নাবালিকাকে ভয়ও দেখায় অভিযুক্ত। কাউকে বললে মেরে বস্তায় ভরে ফেলে দিয়ে আসবে বলে ভয় দেখায়। সেই ভয়ে পরিবারের কাউকে কিছু জানায়নি নাবালিকা। অভিযুক্ত প্রৌঢ় গতকাল নাবালিকাকে ডেকে বাড়িতে নিয়ে গেলে পাড়ার কয়েকটি বাচ্চা এই কুকীর্তি দেখে ফেলে। তারা নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারকে জানায়। পরিবার শিশুটির কাছে ঘটনার কথা জানতে পেরে বৃহস্পতিবার রাতেই কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসে পৌঁছায় পুলিশ। রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।

নাবালিকার এক আত্মীয় বলেন, “ভয়ে আমাদের কিছুই বলেনি। আমরা প্রথমে তাই জানতাম না। পাড়ার বাচ্চারা বলার পরই সব জানা যায়। তখন মেয়ে বলে, আমার সঙ্গে নোংরা কাজ করেছে।”



একতা তিওয়ারি নামক এক পর্যটক মুখোমুখি হয়েছিলেন আসিফের। তাঁর সঙ্গে বচসাও হয়। তখনও তারা জানতেন না কিছুক্ষণ পর এই আসিফই গুলি করে হত্যা করবে। একতা জানান, তাঁর কাছে যখন ধর্ম জানতে চাওয়া হয়েছিল, তখনই ছবি তুলে রাখেন।


'Plan B, ৩৫টা বন্দুক পাঠিয়ে দিয়েছি...', খচ্চরের সহিস সেজেই জঙ্গি আসিফ ঢুকেছিল বৈসরণে! Plan-A কী ছিল তাহলে?
একতার ফোনে জঙ্গির ছবি


শ্রীনগর: জঙ্গল নয়, বৈসরণের মূল ফটক দিয়েই ঢুকেছিল জঙ্গিরা। পর্যটকরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পাশেই ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করছিল মৃত্যু। পহেলগাঁওতে বেছে বেছে হিন্দু নিধন করা হয়েছে। গুলি চালানোর আগে জঙ্গিরা জেনেছে নাম পরিচয় ও ধর্ম। পরিচয় নিশ্চিত করতে পুরুষদের প্যান্ট খোলানো হয়। তারপরই মাথায় গুলি। জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকা তোলপাড় করে ফেলছে নিরাপত্তা বাহিনী। এরইমধ্যে এক জঙ্গির সম্পর্কে জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য।


পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদের মধ্যে এক জঙ্গি আসিফ। এই আসিফ খচ্চরের সহিস সেজেছিল। এক পর্যটকের ফোনেই মিলল জঙ্গির ছবি। তিনিই জানালেন কীভাবে তাদের ধর্ম জানার চেষ্টা করা হচ্ছিল। ওই জঙ্গির কাছে লুকানো ছিল মোবাইল। সেই ফোনেই জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছিল।

একতা তিওয়ারি নামক এক পর্যটক মুখোমুখি হয়েছিলেন আসিফের। তাঁর সঙ্গে বচসাও হয়। তখনও তারা জানতেন না কিছুক্ষণ পর এই আসিফই গুলি করে হত্যা করবে। একতা জানান, তাঁর কাছে যখন ধর্ম জানতে চাওয়া হয়েছিল, তখনই ছবি তুলে রাখেন।

তিনি বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গির যে স্কেচ প্রকাশ করেছে,তার মধ্যে একজনকে দেখেছিলাম। বৈসরণ থেকে ৫০০ মিটার আগে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয় আমাদের। আমরা ভেবেছিলাম খচ্চরের সহিস। আমার নাম জানতে চায়, ধর্ম জানতে চায়। কোরান পড়েছি কি না, এই প্রশ্ন করে। বারবার বলে যে কোরান পড়ো, হিন্দিতেও বই আছে।”

একতা আরও বলেন, “এই সময়ই জঙ্গি আসিফের কাছে ফোন আসে। পায়ে মোজায় লুকানো ছিল ওই মোবাইল। ফোনে কথা বলার সময় আসিফ বলে, ২০ জনের গ্রুপ আসছে। ব্রেক ফেল হয়নি, প্ল্যান বি। ৩৫টা বন্দুক আমি ঘাঁটিতে পাঠিয়ে দিয়েছি, আর পুরো বাক্স পাঠাচ্ছি।”



সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতভর নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তানি পোস্টগুলি থেকে ভারতে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তবে চুপ করে নেই সেনাবাহিনীও।

পাকিস্তানের বেয়াদপি কমছেই না! রাতভর নিয়ন্ত্রণ রেখায় চালাল গুলি, পাল্টা জবাব দিচ্ছে সেনাও
জম্মু-কাশ্মীরে উত্তেজনা।


জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি হানার পরই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। কিন্তু বেয়াদপি কমছে না পাকিস্তানের। নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তান পোস্ট থেকে চলল গুলি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতভর নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তানি পোস্টগুলি থেকে ভারতে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তবে চুপ করে নেই সেনাবাহিনীও। গুলির জবাব গুলি দিয়েই দিয়েছে সেনাবাহিনী।


পহেলগাঁও হামলার তিনদিন পরে যখন উত্তপ্ত দুই দেশের পরিস্থিতি, তখনই ভারতের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছে পাকিস্তান। ভারতে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতভর পাকিস্তানের দিক থেকে গুলি উড়ে এসেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যে পাকিস্তানি পোস্ট বা ঘাঁটি রয়েছে, সেখান থেকেই গুলি চালানো হয়েছে।

ভারতীয় সেনাও পাল্টা জবাব দিয়েছে পাকিস্তানকে। গুলির লড়াইয়ে ভারতের দিকে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। পাকিস্তানে কোনও প্রাণহানি হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।


পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানার পর যখন দুই দেশেই হাই অ্যালার্ট জারি করা, সেই সময়ে পাকিস্তানের এই কাণ্ড ভারতকে উসকানি বলেই বলে করছেন কূটনীতিকরা।

তবে সীমান্তে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বারবার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় ভারতীয় পোস্ট লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল পাক সেনা। সেই সংঘর্ষেও কোনও প্রাণহানি হয়নি।

সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায়, যেখানে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে কিংবা রাতে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে, সেখানে থার্মাল ইমেজের মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা যায়। পহেলগাঁওয়ে তেমনই একটি থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরায় দুই জঙ্গির থার্মাল ইমেজ ধরা পড়েছে।


 পাইন গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসছে ২ জঙ্গি, সামনে এল থার্মাল ইমেজ
দুই জঙ্গির ছবি ধরা পড়েছে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরায়

 কীভাবে পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ পর্যন্ত পৌঁছেছিল জঙ্গিরা? খতিয়ে দেখছেন সেনা ও গোয়েন্দারা। এরই মধ্যে কাশ্মীরে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের ছবি ধরা পড়ল থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরায়। দুই জঙ্গির থার্মাল ইমেজ সামনে এসেছে। পাইন বন দিয়ে কীভাবে ওই দুই জঙ্গি ঢুকেছিল, সেই ছবি থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন, এই জঙ্গিরাই বৈসরণে হামলা চালিয়েছিল কি না।


সীমান্ত সুরক্ষায় বিভিন্ন জায়গায় থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তারই একটিতে দুই জঙ্গির থার্মাল ইমেজ ধরা পড়েছে। থার্মাল ইমেজে দেখা যাচ্ছে, দুই জঙ্গির হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। পাইন গাছের আড়ালে প্রথমে লুকিয়ে ছিল তারা। তারপর আস্তে আস্তে সেই পাইন গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে। তারপর এগিয়ে যায়।

এই থার্মাল ইমেজ কী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রত্যেক বস্তুর একটা নিজস্ব উষ্ণতা আছে। সেই বস্তুর (মানুষ, পশু-পাখি, গাছপালা কিংবা জড় পদার্থ) উষ্ণতার ইনফ্রারেড বিকিরণ হয়। থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা সেই ইনফ্রারেড বিকিরণকে একটি ছবির রূপ দেয়। ঘন অন্ধকারেও থার্মাল ইমেজ তৈরি করতে পারে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা। তাই, সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায়, যেখানে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে কিংবা রাতে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে, সেখানে থার্মাল ইমেজের মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা যায়। পহেলগাঁওয়ে তেমনই একটি থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরায় দুই জঙ্গির থার্মাল ইমেজ ধরা পড়েছে। তবে এই দুই জঙ্গি হামলার সঙ্গে যুক্তি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

২২ এপ্রিলের জঙ্গি হানায় যে চারজন জঙ্গি যুক্ত ছিল, তার মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা। একজনের নাম আদিল গুরে ও অন্যজনের নাম আসিফ শেখ। আদিল অনন্তনাগের বাসিন্দা। আসিফের বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে।

বেছে বেছে হিন্দু নিধন! জঙ্গি আসিফ ও আদিলের বাড়িই বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিল সেনা
বিস্ফোরণের মুহূর্ত।

পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হানায় জড়িত আসিফ শেখের বাড়িতে বিস্ফোরণ। জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে আসিফের বাড়ি ছিল। সেই বাড়িতেই বিস্ফোরণ হয়। বাড়িটি সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। পরে আরেক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির বাড়িও বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।


২২ এপ্রিলের জঙ্গি হানায় যে চারজন জঙ্গি যুক্ত ছিল, তার মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা। একজনের নাম আদিল গুরে ও অন্যজনের নাম আসিফ শেখ। আদিল অনন্তনাগের বাসিন্দা। আসিফের বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে।


বৃহস্পতিবার রাতে আসিফ শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সেনাবাহিনী। তল্লাশি চলাকালীনই তাদের নজরে আসে যে বাড়িতে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু মজুত করা রয়েছে। সেনাবাহিনীকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা আশঙ্কা করেই তড়িঘড়ি সেনারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। বাড়ি থেকে বেরতেই বিস্ফোরণ হয়।



আসিফের পর আরেক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি আদিল ঠোকারের বাড়িও বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয়। দক্ষিণ কাশ্মীরের বিজবেরায় বাড়ি ছিল তাঁর। পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে জঙ্গিহানায় তাঁর ভূমিকা সামনে আসতেই প্রশাসনের তরফে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।



 পুর্নমের বাড়ি রিষড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিসভা এলাকায়। বাড়িতে পুর্নমের স্ত্রী, সাত বছরের পুত্র রয়েছে। এছাড়া বাবা, মা ও দাদা রয়েছেন। পাক সেনার হাতে পুর্নম আটক হয়েছেন জানার পর থেকে দুশ্চিন্তায় পরিবার। কেঁদে চলেছেন পুর্নমের স্ত্রী-মা।

পাক সেনার 'জিম্মা'-য় বাংলার ছেলে, ঘরে ফেরানোর কাতর আর্জি মা-স্ত্রীর
পুর্নমকে ঘরে ফেরানোর কাতর আর্জি মা ও স্ত্রীর


ছেলেকে আটকে রেখেছে পাক রেঞ্জার্স। তাঁর মুক্তি নিয়ে ফ্ল্যাগ মিটিং চলছে বিএসএফ ও পাক সেনার। কিন্তু, বিএসএফ জওয়ান পুর্নম কুমার সাউকে পাক সেনা এখনও না ছাড়ায় চরম দুশ্চিন্তায় হুগলির রিষড়ার সাউ পরিবার। ছেলের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে চলেছেন মা। পুর্নমের স্ত্রী ও পরিবারের কাতর প্রার্থনা, পুর্নমকে পাক সেনার কাছ থেকে মুক্ত করতে সবরকম ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র।


গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে পর্যটকদের উপর জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ গিয়েছে ২৬ জনের। তা নিয়ে নতুন করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এই আবহেই পাক সেনার হাতে আটক হন বিএসএফ কনস্টেবল পুর্নম কুমার সাউ। পাঠানকোট সীমান্তে ডিউটি করার সময় শরীর খারাপ লাগায় একটি গায়ের ছায়ায় বসেছিলেন। বুঝতে পারেননি ভুল করে পাকিস্তান সীমান্তে চলে গিয়েছেন। তাঁকে আটক করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স।

পুর্নমের বাড়ি রিষড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিসভা এলাকায়। বাড়িতে পুর্নমের স্ত্রী, সাত বছরের পুত্র রয়েছে। এছাড়া বাবা, মা ও দাদা রয়েছেন। পাক সেনার হাতে পুর্নম আটক হয়েছেন জানার পর থেকে দুশ্চিন্তায় পরিবার। কেঁদে চলেছেন পুর্নমের স্ত্রী-মা। চোখের জল মুছতে মুছতে পুর্নমের স্ত্রী রজনী বলেন, “মঙ্গলবার রাতেও ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। তখন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে কথা হয়েছিল। পরদিন ওঁর এক বন্ধু আমাদের জানায় যে ওঁকে পাকিস্তান সেনা আটক করেছে।” তাঁর স্বামীকে ছাড়িয়ে আনতে পদক্ষেপের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করলেন তিনি।





ভয়ঙ্কর’, জঙ্গি হামলা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন ভারতে সফররত আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট
ছেলেকে পাক সেনা আটক করেছে জানার পর থেকেই কেঁদে চলেছেন পুর্নমের মা দেবন্তী দেবী। ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চান তিনি। পুর্নমের বাবা ভোলানাথ সাউ আবেদন করেন, “আমার ছেলেকে ফেরত আনতে সবরকম পদক্ষেপ করুক সরকার।”


পুর্নম কুমার সাউ

পরিবারের লোকজন বলছেন, পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে আটক হওয়ার খবর পাওয়ার পর পুর্নমের ফোনে ফোন করেছিলেন তাঁরা। ফোন বেজে যায়। কেউ ফোন তোলেননি। আর এখন ফোন সুইচড অফ রয়েছে।

এদিকে, এদিন পুর্নমের স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি আশ্বাস দেন, পুর্নমকে ফিরিয়ে আনতে সবরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবেই বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

আজ সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে বান্দিপোরায় সন্দেহভাজক গতিবিধির খবর আসে। এরপরই তল্লাশি অভিযান শুরু করে। বান্দিপোরার কুলনার বাজিপোরায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয় জঙ্গিদের খোঁজে।


শুরু অ্যাকশন, বান্দিপোরায় এনকাউন্টারে খতম লস্কর কম্যান্ডার সহ ২ জঙ্গি, জখম ২ নিরাপত্তারক্ষী
উপত্যকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা।


থমথমে উপত্যকায় মুহূর্মুহু শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ। ফের সংঘর্ষ জম্মু-কাশ্মীরে। বান্দিপোরায় শুরু হল সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই। ইতিমধ্য়েই ২ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম কম্যান্ডার আলতাফ লালি। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই সেনা জওয়ান। এখনও গুলির লড়াই চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পরই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে উপত্যকাকে। ২৬ জন হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যাকারী জঙ্গিদের খুঁজতে চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। মূলত পহেলগাঁওয়ের আশেপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান চলছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই এলাকাতেই লুকিয়ে থাকতে পারে জঙ্গিরা।

আজ সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে বান্দিপোরায় সন্দেহভাজক গতিবিধির খবর আসে। এরপরই তল্লাশি অভিযান শুরু করে। বান্দিপোরার কুলনার বাজিপোরায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয় জঙ্গিদের খোঁজে। জঙ্গলে ঢুকতেই জঙ্গিরা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সংঘর্ষে দুই জওয়ান আহত হন। ইতিমধ্যেই চারিদিক ঘিরে ফেলেছে সেনা। চলছে অভিযান। ইতিমধ্যেই দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।


নিহত দুই জঙ্গি।

শুধু পহেলগাঁও-ই নয়, উপত্যকায় আরও নাশকতা ছড়ানোর লক্ষ্য ছিল জঙ্গিদের। এমনটাই গোয়েন্দা সূত্রে খবর। উপত্যকায় জঙ্গি উপস্থিতিতেও তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে উধমপুর, কুলগামেও সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ হয়েছে। জঙ্গিরা জঙ্গল ও পার্বত্য অঞ্চলের ভিতর দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।




জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল পাকিস্তানি। তাদের সমর্থন করেছিল স্থানীয় মিলিট্যান্টরা। ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করেছে কাশ্মীরের বাসিন্দারাই।

পহেলগাঁওয়ের হামলার পিছনে হাত হাফিজ সইদের! সামনে চলে এল আসল সত্যি
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পিছনেও হাফিজ সইদের হাত?

পহেলগাঁওয়ের বৈসরন ভ্য়ালিতে জঙ্গি হানায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট। পাক মদতেই এতটা দুঃসাহস দেখিয়েছে জঙ্গিরা, যেখানে কখনও কাশ্মীরে পর্যটকদের উপরে হাত পড়েনি, সেখানেই খুঁজে খুঁজে হিন্দু পর্যটকদেরই মেরেছে জঙ্গিরা। এই জঙ্গি হামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এই হামলায় জড়িতদের প্রশিক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করেন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদ।

জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের এই সন্ত্রাস মডিউল দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল পাকিস্তানি। তাদের সমর্থন করেছিল স্থানীয় মিলিট্যান্টরা। ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করেছে কাশ্মীরের বাসিন্দারাই। আর এদের সকলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ২৬/১১ হামলার মাস্টারমাইন্ড তথা লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ।

সূত্রের খবর, এই মডিউল দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীর উপত্যকায় সক্রিয়। এর আগে সোনমার্গ, বুটা পাথরি, গান্দেরওয়াল সহ একাধিক হামলার পিছনেও এই মডিউলেরই হাত ছিল। সোনমার্গের হামলার পর লস্কর-ই-তৈবার এ প্লাস ক্যাটেগরির জঙ্গি জুনেইদ আহমেদ ভাটকে নিকেশ করা হয়েছিল। তার গ্রুপের বাকি সদস্যরা পালিয়ে গিয়েছিল।

সাধারণত জঙ্গি হানার পরই জঙ্গিরা আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যায়। যতক্ষণ না পাকিস্তানের হ্যান্ডেলারদের থেকে পরবর্তী নির্দেশ আসে, ততক্ষণ তারা ঘন জঙ্গলেই লুকিয়ে থাকে। জানা গিয়েছে, লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদ ও তাঁর ডান হাত সইফুল্লাই কাশ্মীরের মডিউলকে নিয়ন্ত্রণ করে।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শুধু মগজধোলাই নয়, জঙ্গিদের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ও কৌশলগত দিক থেকে সাহায্য করে পাকিস্তানি সেনা ও আইএসআই। পাকিস্তানের জঙ্গিদের সঙ্গে কাশ্মীরের যুবকদেরও মগজধোলাই করে জঙ্গি বানিয়ে হামলা করানো হয়।



মোট ১৪টি ATV নিয়ে তাঁরা ওপরে ওঠেন। প্রায় ১৫ জন পুলিশকর্মী নিয়ে আদিলরাই প্রথম বাইরে থেকে পৌঁছন ওই ভ্যালিতে। আরও ৩০ মিনিট পর সেখানে পৌঁছয় সিআরপিএফ।


বৈসরনে তখন হিন্দু-নিধন শেষ, মিনিট ২০ পর থানা থেকে আদিলের কাছে আসে ফোন, কেন অত দেরি হল সেদিন
আদিল ফারুক

 বৈসরনের বধ্যভূমিতে সে দিন ছিল না কোনও পুলিশ, কোনও সিআরপিএফ। আর সেই সুযোগটাই বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা। এমনটাই বলছেন পাহেলগাঁও-এর এক নম্বর ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের চেয়ারম্যান আদিল ফারুক। তাঁর দাবি, জঙ্গিরা সে দিন পালানোর জন্য অন্তত ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় পেয়েছিল। ওই দিন দুপুরে তাঁর কাছে এসেছিল ফোন।


জানা গিয়েছে, পহেলগাঁও থানার এসএইচও (SHO) রিয়াজ আহমেদ সে দিন প্রথম পৌঁছন উপরের উপত্যকায়। আদিল ফারুক জানান, ঘটনার দিন দুপুরে তিনি বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। হঠাৎ SHO-র ফোন যায় তাঁর কাছে। তাঁকে বলা হয়, অল টেরেন ভেইকল বা ATV নিয়ে উপরে উঠতে হবে। এরপরই ছুটে যান তাঁরা।

মোট ১৪টি ATV নিয়ে তাঁরা ওপরে ওঠেন। প্রায় ১৫ জন পুলিশকর্মী নিয়ে আদিলরাই প্রথম বাইরে থেকে পৌঁছন ওই ভ্যালিতে। আরও ৩০ মিনিট পর সেখানে পৌঁছয় সিআরপিএফ। আদিলের দাবি, দিনে ৩ থেকে ৪ হাজার পর্যটক যান ওপরে ওই উপত্যকায়। এমন ঘটনার কথা ভাবতেও পারেন না তাঁরা। এত বছরে কখনও ঘটেনি এমন।

তিনি আরও জানিয়েছেন, আগে ওই উপত্যকায় সেনা ছাউনি ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় সেনা ছাউনি সরিয়ে দেওয়া হয়।

বর্তমানে বৈসরনে পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে অপারেশন চলছে। নাইট ভিশন ড্রোন, কুকুর নিয়ে জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বৈসরন এবং পহলগাঁওয়ের কয়েকটি এলাকার টাওয়ার ডাম্প করা হয়েছে।

চিনকে কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। মাথার উপরে বসে, হাতের কাছে রয়েছে 'চিকেনস নেক'।


উত্তরবঙ্গের আকাশে 'পাক খাচ্ছে' রাফাল, আজই কি তবে বড় 'প্রত্যাঘাত' করবে ভারত?
প্রতীকী ছবি

 পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় দফায় দফায় চড়ছে পারদ। ইতিমধ্যে প্রত্যাঘাতে নেমেছে ভারত। জম্মু-কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলছে সেনার চিরুনি তল্লাশি। জঙ্গি দমনে স্থল, জল কোনও পথকেই নিরাপত্তায় মোড়াতে ছাড়ছে না কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।


এবার আকাশপথেও শুরু হয়ে গেল টহলদারি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন পাকিস্তানের সঙ্গে ‘কূটনৈতিক যুদ্ধে’ নেমেছে ভারত, সেই আবহে তাদের ‘বন্ধু’ চিনকে কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। মাথার উপরে বসে, হাতের কাছে রয়েছে ‘চিকেনস নেক’। সুতরাং, সেখানে প্রয়োজন পাহারা।

এবার এই ‘টহলদারি’ জল্পনার মাঝেই উত্তরবঙ্গের আকাশপথে প্রাথমিক মহড়া শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বাগডোগরা, হাসিমারার বায়ুসেনা ছাউনিতে বেড়েছে তৎপরতা। উত্তরবঙ্গের আকাশে দেখা মিলছে রাফাল যুদ্ধবিমানের। এছাড়াও অসম ও অরুণাচলের ঘাঁটিতেও বাড়ানো হয়েছে টহলদারি। সেনা সূত্রে খবর, ‘আক্রমণ’ নামে এই সামরিক মহড়া শুরু করেছে তারা। উত্তরবঙ্গ ছাড়াও হরিয়ানার অম্বলা এয়ারবেস থেকে দেখা গিয়েছে রাফাল, সুখোইদের উড়ে যেতে। তবে এটা শুধুই একটা রুটিন সামরিক মহড়া, এর সঙ্গে ‘প্রত্যাঘাতের’ কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানানো হয়েছে সেনা তরফে।


উল্লেখ্য, একাংশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের দাবি, চিনকে বিশ্বাস করা কঠিন। দেশ যখন পাকিস্তানের দিকে নজর দিয়ে রেখেছে, সেই আবহকে কাজে লাগিয়ে কিছু ‘বিপদ’ ঘটাতে পারে লালফৌজ। তাছাড়া, পাকিস্তানের সঙ্গে যদি যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই সময় চিন থেকেও আক্রমণের সম্ভবনা বাড়তে পারে। ফলে সব রকম প্রস্তুতি আগেভাগেই নিয়ে রাখতে হবে। এমনকি, সেক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের মাটিকেও ব্যবহার করতে পারেন বলেও দাবি করেন এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা।

অবশ্য যুদ্ধ আদৌ হবে কি না, সেই নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন অবসারপ্রাপ্ত সেনাকর্তা রাকেশ বালি। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ হবে বলে মনে করছি না। দুর্বল দেশ পাকিস্থান। ওরা যুদ্ধ চায় না। কিন্তু এই এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। একদিকে চীন আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার হতে পারে। তাই সতর্ক থাকাটাই শ্রেয়।’

কোন কোন সীমান্তে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন?

ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, নাথুলা ছাড়াও বিস্তীর্ণ চিন সীমান্ত ও বাংলাদেশ সীমান্ত দুটোই অত্যন্ত স্পর্শকাতর। শত্রুরা মিলেমিশে সেখানে একাকার। ফলে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় চিনের তৎপরতা রয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের মাটিও পাকসেনারা ব্যবহার করতে পারে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।



যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে গত সোমবার থেকে এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তবে সেদিন তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, এভাবে তালিকা প্রকাশ সম্ভব নয়। তবে পরে কারা স্কুলে যোগ দিতে পারবেন, সেই তালিকা DI-দের পাঠানো হয়।


 বড় খবর, এসএসসি ভবনের সামনে থেকে উঠল অবস্থান, একদল ফিরছেন স্কুলে
সাংবাদিক বৈঠকে চাকরিহারা শিক্ষকরা

 আপাতত এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অবস্থান তুলে নিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এবার তাঁদের অবস্থান চলবে শহিদ মিনারে। আংশিক দাবি পূরণ হওয়ায় গরমের ছুটির আগে পর্যন্ত স্কুলে যাবেন যোগ্য শিক্ষকেরা। তবে ‘যোগ্য’ হয়েও যাঁদের নাম এসএসসির তালিকায় আসেনি, তাঁদের অধিকারের জন্য আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানালেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দু’দিন সময় দেওয়া হল। তাঁদের দাবি পূরণ না হলে তাঁরা এবার বিকাশ ভবন অভিযান করবেন।


যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে গত সোমবার থেকে এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তবে সেদিন তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, এভাবে তালিকা প্রকাশ সম্ভব নয়। তবে পরে কারা স্কুলে যোগ দিতে পারবেন, সেই তালিকা DI-দের পাঠানো হয়।

তারপরই এদিন এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার কথা জানান চাকরিহারা শিক্ষকরা। চাকরিহারা শিক্ষকদের তরফে মেহবুব মণ্ডল বলেন, “বেশ কয়েকদিন ধরে এখানে অবস্থান চালাচ্ছিলাম। যে দাবিগুলি নিয়ে অবস্থান চালাচ্ছিলাম, তার আংশিক পূরণ হয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত একটা গন্ডগোল রয়েছে। আমরা যোগ্যদের একটা তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলাম। সেই তালিকা ডিআই অফিসগুলিতে গিয়েছে। কিন্তু, এই তালিকা যে দায়িত্বের সঙ্গে করা উচিত ছিল, তা হয়নি। শিক্ষকদের রেকর্ড রাখে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সেই কাজ করতে বলা হয়েছে, কারণ তারা সুপারিশ করে। সেখানে কিছু ভুল রয়েছে। কারণ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের পরও হয়তে কেউ চাকরি করেননি, তাঁর নামও চলে এসেছে। অযোগ্য হিসেবে পরিচিত হয়েছে, তাঁর নামও চলে এসেছে। আবার যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, তাঁদের নাম বাদ গিয়েছে। অনেকে স্কুল পরিবর্তন করেছিলেন, তাঁদের নামও বাদ গিয়েছে। ফলে একটা বড় অংশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম নথিভুক্ত করা হয়।”



বৃহস্পতিবার রাতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে ইশাক বলেন, "২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁও জেলায় যারা হামলা চালিয়েছিল হতে পারে তাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামী।"


 দ্বিচারিতার চরম নজির, জঙ্গিদের 'স্বাধীনতা সংগ্রামী' ঘোষণা পাকিস্তানের

পাকিস্তান যা করছে এখন তাকে দু’মুখো সাপ বললেও ভুল বলা হয় না। পহেলগাঁওয়ের যে জঙ্গি হানার নিন্দায় সরব গোটা বিশ্ব। এমনকি দু’দিন আগেও নিন্দা করেছিল খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেই। এবার সেই হামলার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিদেরই ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’ আখ্যা দিল পাক উপ প্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। যদিও বৈসরন উপত্যকায় হামলার দায় খুব সুচারুভাবেই এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। ইসলামাবাদের কোনও ভূমিকার কথা স্বীকার করেননি।


বৃহস্পতিবার রাতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে ইশাক বলেন, “২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁও জেলায় যারা হামলা চালিয়েছিল হতে পারে তাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামী।”

বৈসরন ভ্যালিতে জঙ্গি হামলার পরেই কূটনৈতিক স্তরে কড়া মনোভাব পোষণ করছে ভারত। ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি স্থগিত করেছে। নিয়েছে আরও বড় বড় কিছু সিদ্ধান্ত। সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি রদকে ভালভাবে নেয়নি পাকিস্তানও। এই চুক্তি স্থগিত হলে তা ‘অ্যাক্ট অব ওয়্যার’ হিসাবে গণ্য হবে বলেও জানিয়েছে।


সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বৃহস্পতিবার ইশাক দার বলেন, “পাকিস্তানের ২৪ কোটি মানুষের জলের প্রয়োজন…এটা বন্ধ করা যায় না। এটা অ্যাক্ট অব ওয়্যার। কোনও স্থগিতাদেশ বা দখল মেনে নেওয়া হবে না।”


পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশ মন্ত্রী ইশাক দার

এমনকি ভারতকে সাবধান করেও তিনি জানান, যদি ভারত পাকিস্তানকে ধমকায় বা আক্রমণ করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তার জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “যদি পাকিস্তানের উপর সরাসরি হামলা করা হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।”

জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তীতে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইশাক দার। ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার দায় ঝেড়ে ফেলে তিনি বলেন, “ভারতের হাতে যদি আমাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকে, তবে বিশ্বের কাছে সেটা তারা তুলে ধরুক।”

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ বুধবারই পহেলগাঁও সন্ত্রাসকে ‘ভারতের বিরুদ্ধে বৃহত্তর বিদ্রোহের অংশ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ওই হামলার পরেই সন্ধেবেলা সমাজমাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তইবার শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।’