মৃত তৃণমূল নেতার সঙ্গী বলেন, "আমরা আগেপিছে হাঁটছিলাম। ধাক্কা লাগলে দু'জনকে লাগত। মনে হচ্ছে, ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মারা হয়েছে।" এদিকে, অভিজিৎবাবুর বয়ানে অসংগতি পেয়েছে পুলিশ। তাই তাঁকে টিটাগড় থানার পুলিশ আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
দুর্ঘটনাস্থলে নামমাত্র রক্তের ছোঁয়া, পলতায় মৃত তৃণমূল নেতার সঙ্গীর বক্তব্যে বাড়ছে রহস্য
আটক করা হয়েছে হান্নান গাজির সঙ্গী অভিজিৎ নন্দীকে
খুন নাকি দুর্ঘটনা? পলতায় তৃণমূল নেতা হান্নান গাজির মৃত্যুতে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। শুক্রবার রাতে অভিজিৎ নন্দী ওরফে বাবু নামে একজনের সঙ্গে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন হান্নান গাজি। অভিজিতের দাবি, একটি গাড়ি হান্নানকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। তার জেরেই হান্নানের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, ওই সঙ্গীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই একাধিক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
পলতায় আইএনটিটিইউসি-র অটোরিকশা ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন হান্নান মোল্লা। পলতা স্টেশনে তাঁর একটি সাইকেল গ্যারেজ রয়েছে। প্রতিদিনের মতো নিজের গ্যারেজ বন্ধ করে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পলতা স্টেশন থেকে বাড়ি ফিরছিলেন হান্নান গাজি। সঙ্গী ছিলেন অভিজিৎ। হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। এদিন সকালে অভিজিৎবাবু দাবি করেন, তাঁরা দু’জনে আগে পিছে হাঁটছিলেন। আচমকা একটি গাড়ি এসে হান্নানকে ধাক্কা মারে। পড়ে যান ওই তৃণমূল নেতা। তিনি তখন সবাইকে ডাকাডাকি করেন। অভিজিৎবাবু অবশ্য দাবি করেন, গাড়িটি ইচ্ছাকৃতভাবে হান্নানকে ধাক্কা মেরেছে। তাঁর কথায়, “আমরা আগেপিছে হাঁটছিলাম। ধাক্কা লাগলে দু’জনকে লাগত। মনে হচ্ছে, ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মারা হয়েছে।” এদিকে, অভিজিৎবাবুর বয়ানে অসংগতি পেয়েছে পুলিশ। তাই তাঁকে টিটাগড় থানার পুলিশ আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
অভিজিৎবাবুর বক্তব্যে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। যদি ওই তৃণমূল নেতা গাড়ির ধাক্কায় মারা যান, তাহলে যে পরিমাণ রক্তপাত হওয়ার কথা, সেই পরিমাণ রক্তপাত ঘটনাস্থলে নেই কেন? বিষয়টি ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। প্রশ্ন উঠছে, হান্নানকে কি অন্য কোথাও পিটিয়ে মেরে, তাঁর দেহ এখানে ফেলা হয়েছে?
Post A Comment:
0 comments so far,add yours