তবে শুধুই কি ঋণের চাপে আত্মঘাতী হন তিনি? পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাতে মৃত মকবুলের বাড়িতে এসে তাকে তুলে নিয়ে যায় সেই দুষ্কৃতী দল। ইতিমধ্যে ঋণ শোধ করতে জমি খুইয়েছেন তিনি।

গলা অবধি ডুবেছিলেন দেনায়, বন্দুক দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় এজেন্টরা! দিন পেরতেই আত্মঘাতী বাম নেত্রীর স্বামী
মৃত মকবুল হোসেন


দেনার কাঁটায় বিদ্ধ হচ্ছেন একের পর এক। কখনও বিলাসিতা, কখনও আবার সাধারণ জীবনযাপনের খরচটুকুই সামলাতে না পেরে দেনায় ডুবে যাচ্ছেন অনেকেই। সম্প্রতি, কলকাতার ট্যাংরা-কাণ্ডই এই ‘দেনা-কাঁটার’ যেন একটা বড় উদাহরণ। ঋণের প্রবল চাপে আত্মঘাতী হয় গোটা পরিবার।


এবার একই হাল নদিয়ার চাপড়া থানার অন্তর্গত গোখুরাপোতা গ্রামে। চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় আত্মঘাতী হলেন সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী।

মৃতের নাম মকবুল হোসেন। গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হওয়ায় মানুষ তাকে সমীহ করত অনেকটা। কিন্তু সেই ব্যক্তির এমন পরিণতি হবে, তা যেন কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস কতক আগে অল্প কিছু টাকা ঋণ নেন তিনি। আর তারপরেই এমন কাণ্ড।


স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘গ্রামের মধ্যে এখন দুষ্কৃতীরাজ চলছে। এক দল যুবক চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে, যা শোধ করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে গ্রামবাসীদের। উনিও হয়তো ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি ঋণ নিয়ে ছিলেন। যার পরিবর্তে সেই দুষ্কৃতী দল তার কাছ থেকে এক বিঘা জমি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।’

তবে শুধুই কি ঋণের চাপে আত্মঘাতী হন তিনি? পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাতে মৃত মকবুলের বাড়িতে এসে তাকে তুলে নিয়ে যায় সেই দুষ্কৃতী দল। ইতিমধ্যে ঋণ শোধ করতে জমি খুইয়েছেন তিনি। তারপরেও নাকি সেই লোন এজেন্টদের খিদে মিটছে না। রাতবিরেতে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে চলে মারধর। আর তারপরেই সোমবার আত্মঘাতী হন সেই ব্যক্তি। সুইসাইড নোটে লিখে যায়, দুষ্কৃতীদের নাম। সকাল পুলিশ মৃতের দেহ উদ্ধার করতে এলে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দা। বিচারের দাবিতে চলে প্রতিবাদ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours